তথাগত চক্রবর্তী: বাংলাদেশ ( Bangladesh) থেকে এসে নাম বদলে ‘সঞ্জয় মন্ডল’—বারুইপুরে (Baruipur) গ্রেফতার বাংলাদেশি আমির হামজা (Amir Hamza) বাংলাদেশ থেকে বেআইনি পথে (Illegal penitration) ভারতে ঢুকে নাম পরিবর্তন করে বছরের পর বছর বসবাস করছিলেন এক যুবক। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়লেন তিনি। ধৃতের নাম আমির হামজা, যিনি ভারতে এসে নিজের নাম রাখেন সঞ্জয় মন্ডল। সোমবার বারুইপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটি সোলগোয়ালিয়া এলাকা থেকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে বসিরহাট সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন হামজা। এরপর স্থানীয় এক বাসিন্দা গোষ্ঠ মন্ডলের সহায়তায় জাল নথি তৈরি করে নাম পরিবর্তন করে পান ভোটার কার্ডও। বছরের পর বছর চম্পাহাটিতেই বসবাস করছিলেন তিনি।
এলাকায় তিনি পরিচিত ছিলেন একেবারে সাধারণ শ্রমিক হিসেবে। বিভিন্ন বিল্ডার্সের দোকানে কাজ করতেন নিয়মিত। তদন্তে জানা গেছে, বাংলাদেশে রয়েছেন তাঁর মা, যাঁর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন হামজা ওরফে সঞ্জয়। এই ঘটনায় প্রশাসনের তরফে প্রশ্ন উঠেছে— কীভাবে এত বছর ধরে জাল পরিচয়ে ভারতের মাটিতে নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারলেন তিনি। পুলিশ এখন তাঁর যোগাযোগের পরিধি ও অন্য কোনও বিদেশি যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে।
বাংলাদেশ পুলিসের এক কর্তা এবার ধরা পড়লেন বিএসএফের হাতে। কিছুদিন আগেই ওই বাংলাদেশি পুলিসকর্তাকে আটক করে বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা।
আটক করার পর জেরায় জানা যায় আটক ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ পুলিসের এক কর্তা। নাম আরিফুজ্জামান। বাড়ি বাংলাদেশের নেইলফামারির সাহিপাড়ায়। সূত্রের খবর, হাসিনা জমানার পতনের পর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় গত কয়েক মাস ধরে বসবাস করছিলেন। সুযোগ খুঁজছিলেন ভারতে আসার।
শনিবার স্বরূপনগরের বিথারী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেইসময় তাঁকে আটক করে বিএসএফ। এরপর জেরা করতেই বেরিয়ে আসে ধৃত আরিফুজ্জামান বাংলাদেশের একজন পুলিসকর্তা ছিলেন। তারপরই তাঁকে নিয়ে আসা হয় স্বরূপনগর থানায়। গোটা বিষয়টি জানানো হয় থানায়। তারপরই অনুপ্রবেশকারী আরিফুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে, ভারতীয় নথি জাল করে টানা ১০ বছর ভারতে বসবাস করার পর ধরা পড়ে গেলেন এক বাংলাদেশি। তাকে স্বরূপনগরের হাকিমপুরের মাঝের পাড়ায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ওই দুজনকে বসিরহাট মহকমা আদালতে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে কোনো দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশি পুলিস কর্তা ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েননি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর একটি, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে প্রায় ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। নদীঘেরা ভৌগোলিক অবস্থান, ঘনবসতি এবং শহরাঞ্চলের নিকটবর্তী হওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও মানবপাচারের ঝুঁকি সবসময়ই বেশি থাকে।
পাসপোর্টে এক নাম, আর আধার কার্ডে আর এক! আজ, সোমবার কলকাতা পুরসভায় খোদ মেয়রের ঘরের সামনে থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিস। এরপর নিউ মার্কেট থানা নিয়ে গিয়ে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় ওই ব্যক্তি স্বীকার করে যে, সে বাংলাদেশি। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস। বাড়ি, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নদিয়ার চাপড়ায়। ধৃত ব্যক্তি এখনও যে সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়েছে, তার কোনওটার সঙ্গে কোনওটার মিল নেই। পাসপোর্টে ওই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস। আবার আধার কার্ডে রফিকুল ইসলাম! সচিত্র পরিচয় পত্রেও আর এক নাম। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সমস্ত নথিই ভুয়ো। সেক্ষেত্রে কোথা থেকে এই ভুয়ো নথি তৈরি হল করা হল? কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত? কেন-ই রফিকুল পুরসভায় মেয়রের ঘরের সামনে পৌঁছে গিয়েছিল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।