• সৌজন্যের রাজনীতি! আহত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী....
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সৌজন্যের রাজনীতি। উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মকে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'খগেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনার ডায়বেটিসটা খুব বেশি। তাই জন্য পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়।  কানে একটু লেগেছে'।

    ঘটনার সূত্রপাত গতকাল, সোমবার। জলপাইগুড়ির  নাগরাকাটায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। রেহাই পাননি শিলিগুড়ির বিধায়ক  শঙ্কর ঘোষও।  অভিযোগ, রীতিমতো  ইট, পাথরের দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। স্রেফ বিধায়ক শঙ্কর ধাক্কা মারাই নয়, মারের চোটে মাথা ফাটে সাংসদের। রক্তে ভিজে যায় মুখ! প্রবল বিক্ষোভে শেষে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা।

     

     

    এদিকে উত্তরবঙ্গ বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর আগে আহত সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে চলে গেলেন  মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক বা নৈতিক অধিকার কতটা আছে, সে নিয়ে বিতর্কে যেতে  চাই না। সৌজন্য় সাক্ষাত্‍ করতেই পারেন। কিন্তু খগেন মুর্মুকে দেখতে যাওয়ার আগে যদি পিঙ্কি খাতুন গ্রেফতার হত।  কিংবা ভিডিয়ো যে মুখগুলি দেখা গিয়েছে, চিহ্নিত তৃণমূল কংগ্রেস, তাঁদের যদি পুলিস গ্রেফতার করত, তাহলে বুঝতাম মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিক, তিনি হিংসাকে প্রশয় দিচ্ছে না'।

    শমীকের  দাবি, 'পরিকল্পিত আক্রমণ ছিল। তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে যাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন,  তিনি ভালো মনে করেছেন, গিয়েছেন। ও দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো বা ত্রাণ কাজে সহায়তা করা বা আমাদের নিরাচকরা কেমন আছেন, সেটা দেখতে যাওয়া কি অপরাধ'?

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)