• 'কাছে আয়, কোলে বস... তাহলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাবি!' পুরুলিয়ার কামুক ফেরার প্রধান শিক্ষক অবশেষে জালে...
    ২৪ ঘন্টা | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • মনোরঞ্জন মিশ্র: হস্টেলের ছাত্রীদের (Hostel's Girls' Student) শ্লীলতাহানির (Molestation Case) অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষকের (School Head Master) বিরুদ্ধে। পুরুলিয়ার (Purulia) বরগড়িয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হস্টেলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রীদের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি কিছু ছাত্রী অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ জানালে তাঁরা সরব হন। অভিভাবকেরা থানায় লিখিত অভিযোগও জানান। তিনদিন পরেও অভিযুক্ত ছিল প্রধান শিক্ষক অধরা। অভিযুক্ত শিক্ষকের গ্রেফতারি-শাস্তির দাবিতে বোরো থানার সামনে বিক্ষোভ জানানো হয়েছিন। পুলিস সূত্রে খবর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল। 

    এবার হোস্টেলের ছাত্রীদের উপর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিদ্যালয়ের ওই প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার। ধৃত শিক্ষকের নাম ভাস্কর চন্দ্র মাহাতো। বাড়ি পুরুলিয়ার বোরো থানার খড়িদুয়ার গ্রামে। পুরুলিয়ার বোরো থানার বড়গড়িয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। আজ অভিযুক্তকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে পেশ করল পুলিস ।

    গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বোরো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক অভিভাবক। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হোস্টেলের আবাসিক ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে আসছে ওই প্রধান শিক্ষক। ছাত্রীরা ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস করেনি। হোস্টেল থেকে ছাত্রীরা বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করলে সন্দেহ হয় অভিভাবকদের। তারপরই তারা জানতে পারে ঘটনার কথা । বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বোরো থানার পুলিসের দ্বারস্থ হন অভিভাবকেরা। ঘটনার পর পালিয়ে যান অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। ওই শিক্ষকের গ্রেফতারের দাবিতে বার বার আন্দোলনে নামে বিভিন্ন মহল। অবশেষে অভিযোগ দায়ের হওয়ার ২০ দিন পর গতকাল সোমবার পুলিসের জালে ধরা পড়ে ওই প্রধান শিক্ষক। আজ অভিযুক্তকে তোলা হয় পুরুলিয়া জেলা আদালতে। 

    অতীতেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যে। ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষকের বাড়ি-গাড়ি ভাঙচুর করেছিল উত্তেজিত জনতা। আতঙ্কে তিনতলার ছাদ থেকে লাফ দিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছিল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মণ্ডলহাট এলাকায়। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর, পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল স্থানীয়রা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই পার্শ্বশিক্ষক ছাত্রীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। খবর জানাজানি হওয়ার পর, এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে গিয়েছিল। যদিও ছাত্রীর পরিবারের তরফে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

    ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে শিক্ষক এই সন্দেহে শিক্ষকের বাড়ি ভাঙচুর করেছিল এলাকাবাসী। জনরোষ থেকে প্রাণে বাঁচতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষক রমেন তালুকদার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিক্ষককে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পুলিস। এলাকার বাসিন্দাদের রোষে পড়ে শিক্ষকের বাড়ি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাটোয়া থানার মণ্ডলহাট এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবারের দাবি ছিল, কিছু বোঝার আগেই পাড়ার কিছু লোক এসে তাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছিল। অভিযুক্ত শিক্ষক স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষকের চাকরি করতেন। কাটোয়া থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। জখম শিক্ষককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।

     

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)