দেবব্রত ঘোষ: ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাঁকড়ার মিশ্র পাড়ায় গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক বৃদ্ধার (৭২)। সোমবার সন্ধ্যায় শংকরী দাস নামে ওই বৃদ্ধা ঘরের মধ্যে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন তার চিৎকার শুনে ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। খবর যায় বাঁকড়া তদন্তকেন্দ্রে।
পুলিস এসে অগ্নিদগ্ধ বৃদ্ধাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে ।সেখানে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ বড় ছেলে অমল দাস মদ খেয়ে প্রায় মায়ের সঙ্গে ঝামেলা করত। এমনকি তাকে মারধর করা হত। কিছুদিন আগে ওই বৃদ্ধা তার জমির একটি অংশ মেয়ের নামে লিখে দিলে পারিবারিক অশান্তি চরমে ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই বৃদ্ধা। এরপর আত্মহত্যার প্ররোচনার কারণে অমলকে আটক করে পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে হাড়হিম ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। গত শুক্রবার গভীর রাতে খরপরা গ্রামে ধারাল অস্ত্র দিয়ে বাবা-মাকে কুপিয়ে খুন করল তাঁদেরই ছেলে। মৃত ভীম হাঁসদা (৪৫) এবং সম্বারী হাঁসদা (৪০)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত গোপাল হাঁসদা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। স্থানীয়দের দাবি, এদিন রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বচসা বাঁধে তার।
মুহূর্তের মধ্যেই উত্তেজনা চরমে ওঠে। তারপরই ধারাল অস্ত্র হাতে বাবা-মায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু'জনের। পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে শিউরে ওঠেন। খবর পেয়ে সবং থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পলাতক ছেলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অঞ্চলে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অবিশ্বাস আর শোকের আবহে গ্রামবাসীদের একটাই প্রশ্ন— 'নিজের বাবা-মাকে এ ভাবে খুন করতে পারে কী করে ছেলে?'
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)