পাচারের আগেই সাফল্য, মুর্শিদাবাদে কোটি টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার বিএসএফের
প্রতিদিন | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: সোনা পাচারের বড়সড় চেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ। সোমবার বিকেলের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার চরভদ্রা সীমান্তে। উদ্ধার হয়েছে মোট আটটি সোনার বিস্কুট। ওজন ৮৩২.৫৫০ গ্রাম। আন্তর্জাতিক বাজারে যার আনুমানিক মূল্য ১.০৯ কোটি টাকা। ওই সোনার বিস্কুট লাল কাপড় মুড়িয়ে মাটির নিচে রাখা ছিল বলে খবর।
বিএসএফের ১৪৬ ব্যাটেলিয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা সূত্র মারফত তথ্য এসেছিল। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন জওয়ানরা। সোমবার বিকেলে টহলদারির সময় জওয়ানরা চরভদ্রা সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে একটি জমিতে অস্বাভাবিকভাবে ঘাস জমে থাকতে দেখেছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় সেখানে গিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। ঘাস সরিয়ে মাটির পরিস্থিতি অস্বাভাবিক লেগেছিল জওয়ানদের। দ্রুত ওই জায়গাটির খনন শুরু করে জওয়ানরা। কিছুটা মাটি খুঁড়তেই দেখা যায় একটি লাল কাপড়। সেটি উদ্ধার করতেই বেরিয়ে পড়ে ওই সোনার বিস্কুট।
বিএসএফ জওয়ানদের দাবি, সীমান্তপারে পাচারের উদ্দেশ্যেই সোনাগুলি মাঠে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া সোনা স্থানীয় চরভদ্রা বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। পরে আইনি কার্যকলাপ শেষে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সেগুলি করিমপুর শুল্ক দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিএসএফ জানায়, সোনার বিস্কুট পাচারচক্রে জড়িত কারও নাম, পরিচয় জানা যায়নি। তবে গোটা বিষয়টি দায়িত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এবং জওয়ানদের তৎপরতায় এই বড় ধরনের সোনা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া সীমান্তে যে কোনও ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে জওয়ানরা সদা প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষকেও অনুরোধ করছি, সীমান্তে যে কোনওরকম সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে তারা যেন বিএসএফকে জানাতে দ্বিধা না করেন।” এজন্য বিএসএফ হেল্প লাইন নম্বর ১৪৪১৯ এবং ৯৯০৩৪৭২২২৭ নম্বর দুটি জানিয়েছেন। যারা খবর দেবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।