আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে শিলিগুড়ির হাসপাতালে মমতা
প্রতিদিন | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ”বিজেপি সাংসদের অবস্থা স্থিতিশীল।” আহত খগেন মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ত্রাণ দিতে গিয়ে নাগরাকাটায় আক্রান্ত হতে হয় মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদকে। ইটের আঘাতে একেবারে রক্তাক্ত অবস্থা হয় তাঁর। বর্তমানে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি সাংসদ। সেখানেই এদিন পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করেন আক্রান্ত বিজেপি সাংসদের সঙ্গে। পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও এদিন কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। পরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”বিজেপি সাংসদের অবস্থা স্থিতিশীল। উনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।”
রবিবার বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুই নন, আক্রান্ত হন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। বর্তমানে বিজেপি সাংসদ আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদের চোখের নীচের হাড় ভেঙেছে। প্রয়োজন অস্ত্রোপচারের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। এর মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, বিজেপি সাংসদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি চিকিৎসকদের সঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেছেন বলে খবর। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। বলে রাখা প্রয়োজন, সোমবারই নাগরাকাটা পৌঁছে দুই বিজেপি নেতার উপর হামলার ঘটনায় বার্তা দেন প্রশাসনিক প্রধান। মানুষকে শান্ত এবং সংযত থাকার কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”কোনও ঘটনা ঘটুক আমি চাই না। তবে কেউ যদি প্লাবন এলাকায় ৩০/৪০ টা গাড়ি নিয়ে চলে যায় তাহলে জনতার ক্ষোভ হয়।”
সন্ধ্যায় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জবাব দিতে দেরি করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতেই তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক ও গভীরভাবে উদ্বেগজনক, যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যথাযথ তদন্তের অপেক্ষা না করেই একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন।”
তিনি আরও লেখেন, “যখন স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে ব্যস্ত, তখন বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় বিশাল কনভয় নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছেন। তাও আবার স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসনকে কোনও তথ্য না দিয়েই। এই ঘটনার জন্য কীভাবে রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষ দেওয়া যেতে পারে?”