‘প্রশাসন সতর্ক করেছিল বলেই বহু প্রাণ বেঁচেছে’, উত্তরকন্যা থেকে দুর্যোগের রাতের বর্ণনা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতিদিন | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্যোগের পর পেরিয়েছে আড়াইদিন। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পাহাড়। মঙ্গলবার সকালে মিরিক থেকে উত্তরকন্যায় ফিরে দুর্যোগের রাত অর্থাৎ ৪ অক্টোবর ঠিক কী ঘটেছিল তা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “দুর্যোগের আভাস মিলেছিল। জেলা প্রশাসন সতর্ক করেছিল বলেই বহু প্রাণ বেঁচেছে।” জানালেন, ৫ অক্টোবর ভোর পাঁচটায় ডিজি রাজীব কুমার ও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি।
প্রকৃতির রুদ্ররোষ কয়েকঘণ্টায় তছনছ করে দিয়েছে উত্তরবঙ্গকে। মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের। গতকাল অর্থাৎ সোমবার দুপুরেই নাগরাকাটা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরে যান। মঙ্গলবার মিরিকের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর ফিরে যান উত্তরকন্যায়। সেখান থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ৪ অক্টোবর রাতের কথা। এদিন তিনি বলেন, “পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বুঝতে পেরে প্রশাসন স্থানীয়দের সতর্ক করেছিল। তাই বহু মৃত্যু ঠেকানো গিয়েছে। নাগরাকাটা নিচু এলাকা নয়, কিন্তু হড়পা বান এমনভাবে এসেছে…. আসলে দুর্যোগ জেনেও অনেকেই ঘর ছাড়তে চায়নি।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৫ তারিখ ভোর পাঁচটায় মিটিং করেছি। ৯ টার মধ্যে পুলিশ, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সকলে পৌঁছে গিয়েছিল।”
এদিন উত্তরকন্যা থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হড়পা বানে প্রাণহানি হয়েছে। কিন্তু ওরা বলছে সেতু ভেঙে! আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু হিমাচলের দুর্যোগে ওরা কী করেছিল? মৃতের সংখ্যা লুকিয়েছিল! মহাকুম্ভের সময় তো অর্থ সাহায্য করেনি।” দুর্যোগের মাঝে রাজনীতি এড়িয়ে যাওয়ার কথাই শোনা গেল মমতার মুখে। এই দুর্যোগের ফলে বহু সেতু ভেঙেছে, বিদ্যুতের খুঁটি জলের নিচে। তা স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “একটু সময় দিন, দ্রুতই সব ঠিক করা হবে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, আগামিকাল কলকাতা ফিরলেও দু-তিনদিনের মধ্যেই ফের উত্তরবঙ্গে যাবেন তিনি।