ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার উত্তরবঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ ঘোষণার দাবি তুলল প্রদেশ কংগ্রেস। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে দুধিয়ায় ভেঙে পড়া সেতু-সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে একযোগে এই দাবি জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার।
তাঁর বক্তব্য, “উত্তরবঙ্গে যেভাবে প্রাণহানি, পরিকাঠামো ধ্বংস এবং মানুষের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে, একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প নেই। রাজ্য সরকার ছাড়া সার্বিকভাবে এই বিপর্যয় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি সামাল দেওয়া সম্ভব না। তার জন্য কেন্দ্রেরও সহযোগিতা প্রয়োজ। কেন্দ্র ও রাজ্যকে তাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে, তবেই এই দুর্যোগের মোকাবিলা সম্ভব।” এদিন বেশ কিছু জায়গায় ত্রাণ বিলিও করেছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার সকালেই শুভঙ্কর সরকারের নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল পৌঁছয় উত্তরবঙ্গে। দুধিয়া ব্রিজ-সহ বিভিন্ন বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মিরিকের পথে একাধিক ভূমিধসপ্রবণ অঞ্চল ঘুরে দেখে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, এলাকা পরিদর্শনের পর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দলীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা দেওয়া হবে। গোটা পরিস্থিতির প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে রাহুল গান্ধীর নির্দেশে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন শুভঙ্কর।
তারপরই এদিন নিজে সেখানে পৌঁছে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই উত্তরবঙ্গের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি করছে। একদিকে কার্নিভাল হচ্ছে, অন্যদিকে, বিজেপি কলকাতায় মিছিল করছে। শুভঙ্কর সরকারের কথায়, “এখন এটা রাজনৈতিক সংঘাতের সময় নয়। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কেন্দ্রকে অবিলম্বে এই বিপর্যয়কে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে উত্তরবঙ্গের জন্য একটি বিশেষ আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের যথাযথ পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা সম্ভব হবে।”