• বিপদ হাতে নিয়েই গাঠিয়া নদী পেরিয়ে পৌঁছচ্ছে ত্রাণ! জিটিএ এলাকায় আপাতত বন্ধ স্কুল
    প্রতিদিন | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • অরূপ বসাক ও ধনরাজ ঘিসিং, মালবাজার ও দার্জিলিং: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এখনও বেহাল উত্তরবঙ্গের অবস্থা। প্রবল বৃষ্টিতে একদিকে পাহাড়ের বিভিন্ন অংশে নেমেছে ধস, অন্যদিকে ভেঙে গিয়েছে পথঘাটও। ভেঙে পড়েছে বেশ কয়েকটি সেতুও। ফলে পাহাড়ের একাধিক জনপদ এখনও বিছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া পর্যটকদেরও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। কখনও ব্যবহার করা হচ্ছে জেসিবি, আবার কখনও ঝুঁকি নিয়েই নদীর উপর দিয়েই ট্রাক্টর চালিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী।

    শনি এবং রবিবারের ভারী বৃষ্টিতে নাগরাকাটার বিভিন্ন অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতি হয়েছে। একাধিক জায়গায় প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় স্থানীয় গাঠিয়া নদী পেরিয়েই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। নাগরাকাটার টোন্ডু থেকে বামনডাঙ্গা যেতে পড়ে এই নদী। কানায় কানায় জল। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বিপদ! কিন্তু সেই নদী পেরিয়ে কখনও মানুষজন যাতায়াত করছেন, তো আবার কখনও পৌঁছে যাচ্ছে ত্রাণ। নদী পেরনোর সময় মাঝে মধ্যেই আটকে যাচ্ছে ট্রাক্টর।

    অন্যদিকে গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসনের আওতাধীন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসনের শিক্ষা বিভাগ। পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। বিভিন্ন জায়গায় ঠিক হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থাও। সে কথা মাথায় রেখেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জিটিএ’র তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। সেই অনুযায়ী, ৪ এবং ৫ অক্টোবরের ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের কারণে এই অঞ্চলে সমস্ত পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার কারণে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, মিশনারি, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এসএসকে, এমএসকে ইত্যাদি) ৮ থেকে ১০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৩ অক্টোবর থেকে ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলবে বলেও জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)