• দিদির সন্তানের দেখভাল করতে গিয়ে জামাইবাবুর প্রেমে হাবুডুবু, উত্তেজনায় যা করে বসলেন শ্যালিকা, শহরে তোলপাড়
    আজকাল | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাহুল এবং তন্নু। আগে সম্পর্কে শ্যালিকা-জামাইবাবু ছিলেন। এখন যদিও নাম বদলেছে সম্পর্কের। বদলেছে সমীকরণ। এখন তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। দু'জনের সম্পর্কের সমীকরণ বদলের মাঝের সময়টুকুর কাহিনি নিয়েই তোলপাড়। নজর কেড়েছে নেটিজেনদেরও। অনেকেই বলছেন, প্রেম, প্রেমের সম্পর্কের কোনও কারণ হয় না, বাধাও মানে না। বারে বারে নানা ধরণের প্রেমের কাহিনি এভাবেই সকলকে অবাক করেছে।

    তন্নু গিয়েছিলেন দিদির বাড়িতে। তাঁর প্রয়াত দিদির পরিবারকে রক্ষা করতে এবং তাঁর সন্তানের দেখভাল করতে। গিয়েছিলেন কর্তব্যবোধ নিয়ে। কিন্তু সেই কর্তব্যবোধ-কাহিনির নতুন মোড় নিয়ে আসে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে, এক সময়ে প্রেমে পড়েন দিদির স্বামীর অর্থাৎ জামাইবাবুর। পরিণতি? জামাইবাবুর সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধলেন যুবতী। 

    ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের জামুই জেলার খাইরা থানা এলাকায়। তন্নু এবং রাহুল, দায়িত্ব-কর্তব্যবোধ মাথায় রেখেই, নিজেদের সম্পর্ককেও নাম দিয়েছেন। গিধেশ্বর মন্দিরে গিয়ে বিয়ে সারেন তাঁরা। ওই মন্দির তাঁদের এলাকার একটি সুপরিচিত মন্দির। যুবতী তন্নু, একই জেলার আমারি গ্রামের বাসিন্দা।

    তন্নুর প্রয়াত দিদি নীলম। নীলমের বিয়ে হয়েছিল পাশের লক্ষ্মীসরাই জেলার বাতাসপুরের বাসিন্দা রাহুলের সঙ্গে। রাহুল এবং নীলমের সংসার চলছিল ঠিকঠাকই। তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। ওই মেয়ের বয়স যখন দেড় বছর, তখন মৃত্যু হয় নীলমের। দিদির মৃত্যুর পর, তন্নু তাঁর বোনঝির দেখাশোনার জন্য নীলমের বাড়িতে যান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, বোনঝির দেখাশোনার পাশাপাশি জামাইবাবুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। দিন যত এগোয়, দু'জনের প্রেম তত গভীর হয়। 

    তবে তাঁদের প্রেম এবং সেখান থেকে বিয়ে, মাঝের সময়কাল একেবারেই সহজ ছিল না। দুই পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বলাই বাহুল্য কেউই এই সম্পর্কে মানতে রাজি হননি প্রথমে। উলটে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। এক সময়ে, পরিস্থিতি সামাল দিতে তন্নুর বাবা-মা তাঁকে জামুইতে ফিরিয়ে নিয়ে যান। ওই সম্পর্ক শেষ করার হুমকি দেন এবং ভাবেন, একে অন্যের থেকে দূরে থাকলে সম্পর্ক শেষ হবে।

    যেমন ভাবনা, তেমন কাজ তাঁরা করলেও, ফল তেমনটা হয়নি। দূরত্ব বাড়ার বদলে, দূরে থাকায় শুরু হয় লুকিয়ে দেখা করা। রাহুল মাঝে মাঝেই তন্নুর সঙ্গে পরিবারকে লুকিয়ে দেখা করতে শুরু করেন। সম্পর্কটি আরও অনেকজনের জানাজানি হওয়ার পরে, রাহুল তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের সমর্থন নিয়ে, পরিবারগুলিকে তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজি করানোর জন্য ব্যাপক চেষ্টা শুরু করেন।

    দীর্ঘদিন দুই পরিবারকে বোঝানোর পর, পরিবারের সদস্যরা নিমরাজি হন সম্পর্ক মেনে নিতে। অবশেষে, দুই পরিবারের আশীর্বাদে, জামুইয়ের বিখ্যাত গিধেশ্বর শিব মন্দিরে নিয়ম মেনে রাহুল এবং তন্নুর বিয়ে হয়। জানা গিয়েছে, তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের সদস্যরা হাজির হয়েছিলেন। 

    অক্টোবরের শুরুতেই সামনে এসেছিল আর এক শ্যালিকা-জামাইবাবুর সম্পর্কের এবং সেই সম্পর্কের পরিণতির কথা। বিয়ের আসরে দেখেই শ্যালিকার প্রেমে পড়েছিলেন জামাইবাবু। সেই প্রেমের সম্পর্কের কথা জানাজানিও হয়ে যায়। কিন্তু শ্যালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভাঙেননি জামাইবাবু। বাড়িতে আপত্তি জানাতেই একসঙ্গে চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।‌ পুলিশ জানিয়েছে, ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কানপুরে এক জলমগ্ন জমি থেকে এক কিশোরী ও এক যুবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই দু'জনে নিখোঁজ ছিলেন। মৃতেরা হলেন, ২২ বছরের উমাকান্ত ও তাঁর ১৬ বছরের শ্যালিকা। 
  • Link to this news (আজকাল)