• সার্ভিস রিভালভার দিয়েই পরপর গুলি! ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার হরিয়ানার শীর্ষ পুলিশকর্তার রক্তাক্ত দেহ
    আজকাল | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: হরিয়ানার শীর্ষ পুলিশকর্তার বাড়িতে পরপর গুলির আওয়াজ। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হাজির হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাড়িতে পৌঁছেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। ফাঁকা বাড়িতে সার্ভিস রিভালভার দিয়ে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন হরিয়ানার শীর্ষ পুলিশকর্তা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১-এ। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, হরিয়ানার শীর্ষ পুলিশ কর্তা অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ওয়াই পুরন কুমার নিজের বাড়িতেই আত্মঘাতী হয়েছেন। নিজের সার্ভিস রিভালভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বাড়ি থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না পুলিশ কর্তার স্ত্রী আইএএস আধিকারিক অমনিত পি কুমার। বর্তমানে জাপান সফরে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনির নেতৃত্বে রাজ্য প্রতিনিধি দলের হয়ে জাপানে গিয়েছেন তিনি। আগামিকাল বুধবার তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। চণ্ডীগড়ের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ কানওয়ারদীপ কৌর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টা বেজে ৩০ মিনিট নাগাদ সেক্টর ১১ থানা এলাকায় গুলি চালানোর খবর পায় পুলিশ। 

    তড়িঘড়ি করে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ওয়াই পুরন কুমারের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। তাঁর বাড়ি থেকেই রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন, তার সুস্পষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কোনও সুইসাইড নোট রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জোরকদমে তদন্ত চলছে। 

    প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে আরও এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ ভ্যানের মধ্যে লুটিয়ে ছিল দুই পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ, রক্তাক্ত দেহ। দেহ দু'টি উদ্ধারের পর সাতসকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। ময়নাতদন্তের পরেই চোখ ছানাবড়া পুলিশের। খুন ও আত্মহত্যার ঘটনায় নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুরে। রবিবার ভোরবেলায় উত্তর কাশ্মীরের সুপুর থেকে রেয়াসি জেলার একটি ট্রেনিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কালী মাতা মন্দিরের কাছে একটি পুলিশ ভ্যান থেকে দুই পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েই দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। 

    পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির মধ্যে চালকের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল এক হেড কনস্টেবলের। বচসার মাঝেই কনস্টেবল গুলি করে চালককে খুন করেন। এরপর গুলি চালিয়ে নিজে আত্মঘাতী হন। সেই সময় গাড়িতে আরও এক কনস্টেবল ছিলেন। তিনি কোনও মতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। 

    সেই কনস্টেবল পুলিশে খবর দিলে দুই পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার করা হয়। কী কারণে দু'জনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একে ৪৭ বন্দুক দিয়ে খুন ও আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 
  • Link to this news (আজকাল)