আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচবিহারে মাথাভাঙা-২ ব্লকের প্রেমেরডাঙা পঞ্চায়েতের ধলোগুড়ি এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে দেখা দিল গন্ডার আতঙ্ক। স্থানীয় নদীর পাড়ে প্রথম গন্ডারটিকে দেখা যায় বলে দাবি বাসিন্দাদের। তারপর থেকেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ ফসলের জমি পর্যন্ত যেতে ভয় পাচ্ছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বনদপ্তরের কর্মীরা। কোচবিহার জেলা বন দপ্তরের উদ্যোগে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। গন্ডারটিকে নিরাপদে ফেরাতে নামানো হয়েছে দুটি কুনকি হাতি। বনকর্মীরা কুনকিদের সাহায্যে গন্ডারের গতিবিধি খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত গন্ডারের কোনো সঠিক খোঁজ মেলেনি বলে বন দপ্তরের একটি সূত্র জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে গন্ডারটিকে নদীর ধারে দেখা গিয়েছিল। এরপর সেটি কুলবাগান ও ধানক্ষেতের দিকেও ঘুরে বেড়িয়েছে বলে জানা যায়। গন্ডারের চলাফেরায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। বনদপ্তরের কর্মীরা দিনভর এলাকায় তল্লাশি চালালেও, বন্যপ্রাণীটির সঠিক অবস্থান জানা যায়নি বলেই তাঁরা জানান। এদিকে, আতঙ্কে স্থানীয়দের অনেকেই রাতের বেলা বাড়ির বাইরে বেরোতে সাহস পাচ্ছেন না। বনকর্মীরা এলাকাবাসীদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য,গন্ডারটি সম্ভবত জলদাপাড়া বা পার্শ্ববর্তী বনাঞ্চল থেকে নদীর স্রোতে ভেসে এসে এই এলাকায় ঢুকে পড়েছে।
বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান,'আমরা কুনকি হাতির সাহায্যে তল্লাশি চালাচ্ছি। গন্ডারটিকে নিরাপদে তার আবাসভূমিতে ফেরানোই এখন মূল লক্ষ্য।' গ্রামবাসীরা আশাবাদী,বন বিভাগের তৎপরতায় গন্ডারটি দ্রুত উদ্ধার হবে এবং এলাকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে।
প্রসঙ্গত, রাতভর প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ৷ ধস নেমে জাতীয় সড়ক ও অন্য়ান্য রাস্তাগুলি বন্ধ ৷ এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ির জলদাপাড়ায় আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করা হল কুনকি হাতিদের সাহায্যে ৷
রবিবার সকালে মাদারিহাটের হলং নদীর উপর কাঠের সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ৷ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে আটকে পড়েন পর্যটকরা ৷ নদী পারাপারের একমাত্র কাঠের সেতুটি ভেসে যাওয়ায় পর্যটকরা কীভাবে নদী পেরবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন পর্যটকরা ৷ সেতুটি ভেঙে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকজন পর্যটক সেতুর উপর দিয়ে দৌড়ে সেতু পেরিয়ে চলে যান ৷
এরপর মাদারিহাট ট্যুরিস্ট লজের তরফে হাতির সাহায্যে পর্যটকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ নদীর উপর দিয়েই হাতির পিঠে পর্যটকদের চাপিয়ে তাঁদের সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেন জলদপাড়া বন্যপ্রাণী বিভাগ কর্তৃপক্ষ ৷ পর্যটকদের জিনিসপত্র হাতির পিঠে চাপিয়ে নিয়ে আসা হয় ৷