দুর্গাপুজোর পরপরই বিজয়ার আবহে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর রাজ্যের একাধিক জেলা ও ব্লকে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘বিজয়া সম্মিলনী’। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূলের রাজ্য ও জেলা পর্যায়ের নেতা, বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, বীরভূম, বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ— প্রায় প্রতিটি জেলায় একাধিক স্থানে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে এই বিজয়া সম্মিলনী। স্থানীয় সাংগঠনিক নেতারা অনুষ্ঠানের আয়োজনের দায়িত্বে থাকলেও মূল বক্তা হিসেবে থাকবেন দলের রাজ্য ও বিধানসভার নেতারা।
উত্তর দিনাজপুরে বিকেল ৩টেয় কালিয়াগঞ্জের নাজমু নাট্য নিকেতনে উপস্থিত থাকবেন মোশারফ হোসেন। একই সময়ে চোপড়ার সোনাপুর এমজি হাই স্কুলে বক্তব্য রাখবেন গোলাম রব্বানি। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ও হরিরামপুরে দুটি সভা করবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিকেল ৩টেয় ও ৫টেয় জাদুভট্ট মঞ্চে পরপর দুটি সভা করবেন প্রিয়দর্শিনী ঘোষ বাওয়া। বিকেল ৩টেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে জামতলার বিধায়ক দপ্তরে যোগ দেবেন জেলামন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
পূর্ব বর্ধমানের একাধিক ব্লকেও একযোগে অনুষ্ঠান হবে। পূর্বস্থলীতে শ্রীরামপুর নজরুল মঞ্চে বিকেল ৩টেয় বক্তব্য রাখবেন চিকিৎসক তথা তৃণমূল নেত্রী শর্মিলা সরকার। একই দিনে জামালপুর, আউশগ্রাম ও কাটোয়াতেও পৃথক সভা হবে। কাটোয়া শহরের সংহতি মঞ্চে সন্ধ্যা ৬টায় আবারও বক্তব্য রাখবেন শর্মিলা সরকার।
নদিয়া জেলার তিনটি ব্লকে বিজয়া সম্মিলনীতে মুখ্য বক্তা হিসেবে থাকবেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বিকেল ৩টেয় তেহট্টের দিনবন্ধু মঞ্চে, ৪.৩০টায় করিমপুর-২ ব্লকের মহীশবাথান কমিউনিটি হলে এবং ৫.৩০টায় করিমপুর কৃষক মোড়ে পরপর তিনটি সভায় উপস্থিত থাকবেন তিনি।
তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, ‘দুর্গাপুজোর পর মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন, সংগঠনের কাজে গতি দেওয়া এবং বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়াই এই বিজয়া সম্মিলনীর মূল উদ্দেশ্য।’
রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের জেলা পর্যায়ের কর্মসূচি তৃণমূলের সংগঠনকে আরও সক্রিয় করবে।