• মিরিকে দুর্যোগ পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, খগেনকে দেখতে গেলেন শুভেন্দু
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • মঙ্গলবার পাহাড়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মিরিকে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তিনি এবং দুর্গত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘এখানে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এখন দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো এবং যাঁরা প্রিয়জন ও ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের সবরকম সাহায্য পৌঁছে দেওয়া।’

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে তিনি দু’দিনের সফরে মিরিকে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং এনডিআরএফ, এসএসবি-সহ সমস্ত উদ্ধারকারী বাহিনীকে একযোগে কাজ করতে হবে। একমাত্র ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাতেই এই বিপর্যয়ের মোকাবিলা সম্ভব।’

    রিজিজু আরও জানিয়েছেন, তিনি দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা এবং ত্রাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জমা দেবেন।

    এদিকে মমতার পরেই মঙ্গলবার আক্রান্ত খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে যান শুভেন্দু। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন। যদিও এই দুই বিজেপি নেতার অনেক আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বিরোধী দলের নেতা হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতির উর্ধে উঠে হাসপাতালে গিয়ে খগেন মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুধিয়ায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে যান। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। সঙ্গে এটাও  দাবি করেছেন, ওই দুর্গত এলাকায় ৩০-৪০টা কনভয় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর তাতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। হামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভিআইপির নাম করে ৩০টা গাড়ি, ৪০ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকছে।’

    তাঁর কথায়, ‘আমি তিনটে গাড়ি নিয়ে যাই। একটা সামনে থাকে, একটা মাঝে আর একটা পিছনে। একে রাস্তা খারাপ। তারপর যদি ৪০ টা গাড়ি নিয়ে ঢুকি। তাহলে কি পাহাড়ে প্রেসার পড়ে না? আমি তাই স্ট্রিকলি বলেছি, আমাদের কেউ গেলে ৩টের বেশি গাড়ি নিয়ে যাবে না।’

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিনে দার্জিলিং ও সংলগ্ন এলাকায় ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, একাধিক গ্রাম ও রাস্তা ভেসে গিয়েছে। পাহাড়ে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ। উদ্ধার ও ত্রাণকাজ চালাচ্ছে সেনা, এনডিআরএফ ও রাজ্য প্রশাসন। স্থানীয় মানুষদের উদ্ধারে রাতদিন কাজ করে চলেছে প্রশাসন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)