বিধান সরকার: খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, তাও আবার সোশ্য়াল মিডিয়ায়! রেহাই পেলেন না তৃণমূল কাউন্সিলরও। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করল বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির উত্তরপাড়ায়।
একদিনেই বৃষ্টিতে বানভাসি উত্তরবঙ্গ। বন্য়া, ধসে মৃত্যুমিছিল। গতকাল. সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় বন্য়াদুর্গত সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আক্রান্ত হন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। দু'জনেই ভর্তি হাসপাতালে। সাংসদ ICU-তে। আজ, মঙ্গবার আহত সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে রাতে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের হামলার নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট দেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরা, যাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেন—পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন'।
মোদীর পোস্টের নিচে উত্তরপাড়া পুরসভার তেইশ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর র অর্ণব রায় লিখেছেন, 'আপনি যদি বন্যা দুর্গত এলাকায় রিলিফ না নিয়ে যান তাহলে বাংলা আপনাকে দুয়ারে ক্যালানি দেবে'। এরপর আজ, মঙ্গলবার তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে উত্তরপাড়ায় থানায় অভিযোগে দায়ের করেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বলেন, 'দেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই ভাষায় কথা বলা যায় না।তৃণমূলের কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করতে হবে'। কাউন্সিলর পাল্টা দাবি, 'যাঁরা এই কথা বলছে, তাঁরা ইংরেজিটা কম বোঝেন। আমি যেটা বলতে চেয়েছি, সেটা বাংলা করলে দাঁড়ায়,বন্যা দুর্গত এলাকায় প্রাণ নিয়ে গেলে সেই প্রাণও ছিনিয়ে নেয় অনেক সময়। প্রাণ চলে গেলে পাবলিক তাংদের মারধর করতে পারে। তাদের ক্ষোভের একটা বহিঃপ্রকাশ হতে পারে'।
তৃণমূল কাউন্সিলরের সাফ কথা, ওখানে সাংসদ বিধায়ক কাউকে দেখা যায় না। আর একজন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে আমি এই ধরনের কিছু লিখব, আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়নি। কোথাও জল জমলে বিজেপির লোক বলে দুয়ারে ভেনিস, দুয়ারে লন্ডন। তাই ওদের ভাষাতেই আমি বলেছি দুয়ারে ক্যালানি। তাঁরা মার খেয়ে গিয়েছে। এটা জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ'।