জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: একরাতের বৃষ্টিতেই বানভাসি উত্তরবঙ্গ। 'আমি শুনেছি, ভুটানের চারটে বাঁধ শূন্য করে দিয়েছে। একটুও জল নেই, সব ছেড়ে দিয়েছে', বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এখন উত্তরবঙ্গে। এদিন শিলিগুড়ি উত্তরকন্যায় সাংবাদিকে বৈঠকে তিনি বলেন, 'পুরোটাই ফেস করতে হচ্ছে উত্তরবঙ্গকে। দক্ষিণবঙ্গে যেমন ডিভিসি, মাইথন, পাঞ্চেত, বিহার-ইউপি-র জল। কলকাতায় যে জল জমল। কারণ, কলকাতার গঙ্গা তো ভর্তি ইউপি-র জলে, ফরাক্কার জলে। জলটা বয়ে যাবে কোথা দিয়ে!মুম্বই থেকে শুরু করে, উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে, দিল্লি থেকে শুরু করে, উত্তরাখণ্ড থেকে শুরু করে, সারা ভারতবর্ষের'।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পার্বত্য এলাকায়, বিশেষ করে উত্তরাখণ্ডে কম হয়নি অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। অনেক সময় সংখ্যাটা দেখানো হয়নি। কারণ, সেখানে ডাবল ইঞ্জিন সরকার আছে। মিডিয়াকে কন্ট্রোল করে। সাংবাদিকদের দোষ দিচ্ছি না। আমাদের এখানে এসব নেই। এখানে নেগেটিভ আর ন্যারেটিভ বেশি করে, যেহেতু ডাবল ইঞ্জিন সরকার নেই। মারা গেল ধসে, ফ্লাশ ফ্লাডে। বলে দিল ব্রিজ ভেঙে মারা গিয়েছে। ব্রিজ তো অনেক ভেঙেছে। অনেক লোক মারা গিয়েছে। গুজরাতেও, ইউপিতে, কর্নাটকে, রাজস্থানে, মধ্য়প্রদেশেও। কই আমরা তো রাজনীতি করিনি। মহাকুম্ভ কি বিপর্যয় ছিল না? বিপর্যয় ঘোষণা করেছিল কি? আমরা কথা হচ্ছে, সাংবিধানিক পদে থেকে মন্তব্য করবে, তার উচিত সাংবিধানিক পদটাকে মেনে মন্তব্য করা'।
এদিকে উত্তরবঙ্গে বন্যাদুর্গতদের দেখতে দিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যখন কোনও ঘটনা ঘটে,সেখানকার মানুষদের আশ্বস্ত করতে হয়। তাদের একটা ক্ষোভ জন্মায় যে, যে আমার বাড়ি চলে গিয়েছে, সার্টিফিকেট চলে গিয়েছে, খাবার চলে গিয়েছে। আমি খাব কী? আমার রাস্তা নেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তখন মানুষ অসহয়তার ভোগে। সেই অসহায় অবস্থা কাটাতে গেলে আমাদের পরিস্থিতিটা খুব শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করতে হয়। কোনও তর্ক করতে হয় না। খুব মাথা ঠান্ডা রেখে ওদের সমস্যাটা বোঝা আমাদের প্রথম কাজ। ২১ পরিবারকে কে আমি নিজের মিট করেছি। পাঁচ লক্ষ টাকা করে ওদের তুলেও দিয়েছি। ডিজিকে বলেছি ৫ দিনের মধ্যে চাকরিগুলি করেও দেবে'।