মায়ের আশীর্বাদে সরকার প্রধান হিসাবে ২৫ বছর, ছবি-সহ আবেগ বিহ্বল পোস্ট মোদির
প্রতিদিন | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আড়াই দশক ধরে তিনি সরকার প্রধান হিসাবে জনতার সেবা করছেন। ভারতবাসীর আশীর্বাদ পাওয়াতেই তা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার সামাজিকমাধ্যমে আবেগ বিহ্বল পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণের ছবিও পোস্ট করেছেন নমো। উল্লেখ করেছেন মা হীরাবেনের আশীর্বাদ ও আদর্শের কথা।
২৪ বছর আগে পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই পটেলকে সরিয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথমবার শপথ নিয়েছিলেন মোদি। ২০০১ থেকে ২০১৪ সময়কালে মোট চারবার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেন তিনি। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। ইতিমধ্যে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। সরকার প্রধান হিসাবে দীর্ঘ যাত্রার পঁচিশ বছরে পা দিয়ে দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন মোদি।
এক্স অ্যাকাউন্টে মোদি লিখেছেন, “২০০১ সালের এই দিনে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম বার শপথ নিয়েছিলাম। ক্রমাগত আশীর্বাদ করার জন্য ধন্যবাদ দেশবাসীকে। সরকারের প্রধান হিসাবে জনগণের সেবার ২৫ বছরে পা দিলাম আমি। ভারতবাসীর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা রইল। এতগুলি বছর ধরে সব সময় চেষ্টা করেছি যাতে আমাদের জীবনযাপন এবং দেশের উন্নতি হয়।”
কঠিন সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। সেকথাও সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন মোদি। লিখেছেন, “ওই বছরেই বড় ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত হয় রাজ্য। তার আগের বছরগুলিতে হয়েছিল সুপার সাইক্লোন, খরা, রাজনৈতিক অস্থিরতা। ওই চ্যালেঞ্জগুলিই মানুষের সেবা করার সঙ্কল্প আরও দৃঢ় করেছিল। প্রাণশক্তি এবং আশা দিয়ে গুজরাট পুনর্গঠনের মজবুত সঙ্কল্প করা হয়েছিল।”
মঙ্গলবারের পোস্টে মা হীরাবেনের কথাও উল্লেখ করেছেন মোদি। তিনি লেখেন, “যখন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিই, তখন মা দু’টি কথা বলেছিলেন। তা এখনও মনে রয়েছে। তিনি বলেছিলেন— আমি তোমার কাজ খুব বেশি বুঝি না। কিন্তু দু’টি জিনিস চাই। এক, তুমি সব সময় গরিবদের জন্য কাজ করবে। দুই, তুমি কখনও ঘুষ নেবে না।” মায়ের এই আদর্শবাণী সামনে রেখেই কাজ করে চলেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রশাসনিক প্রধান হিসাবে নিজের সাফল্য তুলে ধরতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা যেমন উল্লেখ করেন মোদি, তেমনই আক্রমণ করেছেন ইউপিএ সরকারকে। লিখেছেন, “দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, নীতিপঙ্গুত্বের সমার্থক ছিল ইউপিএ সরকার।” মোদি দাবি করেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই পরিস্থিতি পালটেছে। দেশ ক্রমশ প্রগতির দিকে এগোচ্ছে।