‘ঋতুস্রাব চলছে, আসতে পারব না’, উত্তরে কী নিদান দিতেন কীর্তিমান ‘বাবা’? প্রকাশ্যে কল রেকর্ড
প্রতিদিন | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তদন্ত যত এগোচ্ছে ফাঁস হচ্ছে দিল্লির স্বঘোষিত ‘বাবা’ স্বামী চৈতন্যানন্দ সরস্বতীর একের পর এক কীর্তি। এবার তদন্তকারীদের হাতে এল তরুণীদের সঙ্গে তাঁর ফোনের কল রেকর্ডিং। জানা যাচ্ছে, ঋতুস্রাব চলাকালীনও ছাড় মিলত না তরুণীদের। ‘বাবা’র সঙ্গে দেখা করতে আসতে হত হোটেলে। আর এই গোটা বিষয়টির পরিচালনার দায়িত্বে থাকতেন চৈতন্যানন্দ ওরফে পার্থসারথীর মহিলা সহযোগীরা! তারাই হোটেলের বন্দোবস্ত করে দিত। ঠিক করে দিত কখন তরুণীদের সেখানে আসতে হবে।
একটি কল রেকর্ডিং-এ এক তরুণীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আজ আমি আসতে পারব না। আমার ঋতুস্রাব চলছে।” এই কথা বলতেই ফোনের ওপারে থাকা চৈতন্যানন্দের এক মহিলা সহযোগী রেগে ওঠেন। বলেন, “একদম অজুহাত দেবেন না। বাবার সঙ্গে না দেখা করার চক্রান্ত সব।” তদন্তকারীদের একটি সূত্রের খবর, চৈতন্যানন্দ তাঁর সহযোগীদের আগে থেকেই বিভিন্ন রকমের নির্দেশ দিয়ে রাখতেন। যদি কোনও তরুণী হোটেলে আসতে রাজি না হয়, তাহলে তাঁদেরকে রাজি করানোর দায়িত্ব ন্যস্ত হত সহযোগীদের কাঁধেই। চৈতন্যানন্দের একাধিক জিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করার পর এরকমই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের।
গত ২৮ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ আগ্রার এক হোটেল থেকে ধরা পড়েছে দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকার শ্রী শারদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট নামে আশ্রমের ওই স্বঘোষিত ‘বাবা’। গত কয়েকদিন ধরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। চৈতন্যানন্দ ওরফে পার্থসারথীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা প্রথম হয়েছিল ২০০৯ সালে। সেবার তাঁর বিরুদ্ধে তহবিল তছরুপ এবং প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে। পরে ২০১৬ সালেও এক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিল। এবার ফের অভিযোগ, এবং তা অনেক বড় আকারে। একে একে ১৭ মহিলা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই যে আশ্রমের সঙ্গে ওই ‘বাবা’ যুক্ত সেই শ্রী শ্রীঙ্গেরি মঠও বাবার সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেছে।