সুমন করাতি, হুগলি: দুর্গম শৃঙ্গ জয়ের নেশা! চূড়ায় পৌঁছনোর খিদে। পাহাড়ের টানে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আন্টার্টিকা-সহ একাধিক মহাদেশ ছুটছেন হুগলির উত্তরপাড়ার যুবক শুভম চট্টোপাধ্যায়। ছুঁলেন নেপালের মানাসলু পর্বত। দুর্গাপুজোর সময় বাঙালি যখন আনন্দে মাতোয়ারা সেই সময় পৃথিবীর অষ্টম সর্বোচ্চ দুর্গম শৃঙ্গ মানাসুলু জয় করেছেন এই পর্বতারোহী।
হুগলির হিন্দমোটরের বাসিন্দা শুভম চট্টোপাধ্যায়। এলাকায় ‘মাউন্টেনিয়ার রনি’ নামে পরিচিত তিনি। কলকাতার অন্যতম প্রাচীন ক্লাব ক্লাইমবার’স সার্কেলের সদস্য এই পর্বতারোহী পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসলু (উচ্চতা ৮,১৬৩ মিটার) জয় করেছেন ২৮ সেপ্টেম্বর। সকাল ৬টা ১৮ মিনিটে সামিট করেন তিনি।
দুর্গম এই পর্বতটির প্রতিপদে রয়েছে মৃত্যুফাঁদ! ক্যাম্প ৩ থেকে ক্যাম্প ৪ পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার টানা পথে তুষারঢাল, বরফের দেয়াল, বিপজ্জনক হিমবাহ পার হতে হয়। গহ্বর ও বরফের টাওয়ার মতো বিপদ রয়েছে প্রতি খাঁজে। তুষারঝড় ও মুহূর্তে বদলে যাওয়া প্রতিকূল আবহাওয়া আরও কঠিন করে তোলে যাত্রাপথকে। ক্যাম্প ৩তে থাকাকালীন তুষারঝড়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন শুভমও। সেই প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে শৃঙ্গ জয় করেছেন তিনি।
যে শৃঙ্গগুলোর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,০০০ মিটারেরও বেশি। সেগুলোকে ‘ডেথ জোন’ বলা হয়। সেই শৃঙ্গগুলির জয়ের নেশায় ছুটছেন শুভম। ইতিমধ্যেই নাম তুলেছেন ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসে (লন্ডন)। ৪৯ ঘণ্টার ব্যবধানে ওশিয়ানিয়া মহাদেশে সর্বোচ্চ দু’টি পর্বত শৃঙ্গ সামিটের জন্য এই পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। এবার তাঁর লক্ষ্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার।