• সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কী চলবে কে জানে! মজার ছলে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির
    বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নয়াদিল্লি: সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন আইনজীবী রাকেশ কিশোর। সনাতনী দোহাই দিয়ে এই হামলায় সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রধান বিচারপতির দয়াপরবশতায় সোমবার রাতেই ছাড়া পেয়ে যান অভিযুক্ত। তারপরও বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই ৭১ বছরের রাকেশের। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘আমি ভিতু না। যা করেছি তার জন্য অনুতপ্ত নই।’  এরইমধ্যে মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এদিন দায়রা বিচারকদের নিয়োগ, পদোন্নতি সংক্রান্ত শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতি গাভাই আর বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চে। শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতির কাছে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব রাখেন তিনি। তখন কিছুক্ষণের জন্য শুনানি বন্ধ রাখা হয়। পরে এক আইনজীবীকে মজা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমার ভাই কিছু বলতে চাইছিল। তবে সেটা একান্তে বলার সিদ্ধান্ত নেয়। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় কী খবর হবে সেটা আমরা জানি না। এতে আপনার মক্কেলেরও খারাপ লাগতে পারে।’

    সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহো মন্দির কমপ্লেক্স নিয়ে একটি মামলার শুনানি চলাকালে একটি মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশের আক্রমণের শিকার হন প্রধান বিচারপতি গাভাই। তাঁর ইমপিচমেন্টের পক্ষে প্রচার পর্যন্ত চালানো হয়। এরইমধ্যে সোমবার প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে জুতো ছোড়ার চেষ্টা করেন রাকেশ। রাকেশকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তিন ঘণ্টা জেরাও করা হয়। পরে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ মেনে তাঁকে ছেড়ে দিতে বলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল।  ছাড়া পাওয়ার পরও নিজের অপকর্মের রীতিমতো সাফাই দিয়েছেন রাকেশ। তিনি বলেছেন, ‘১৬ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থে একটি মামলা করা হয়েছিল। তিনি ঠাট্টা করে বিষয়টি নাকচ করে দেন। সনাতন ধর্ম কোনও বিষয় উঠলেই সুপ্রিম কোর্ট এমন নির্দেশ দেয়। আমি কষ্ট পেয়েছিলাম। প্রধান বিচারপতির কাজের পরিপ্রেক্ষিতে এটাই আমার প্রতিক্রিয়া। এর জন্য আমি অনুতপ্ত নই। আমি কিছু করিনি। ঈশ্বর এটা করিয়েছেন।’  এমনকী,  বুলডোজার   চালিয়ে অবৈধভাবে   নির্মাণ ভাঙা নিয়ে যে রায়  সুপ্রিম  কোর্ট দিয়েছে, তারও বিরোধিতা করেছেন অভিযুক্ত।
  • Link to this news (বর্তমান)