• নাগরাকাটায় পে লোডারে চেপে দুর্গত এলাকায় পৌঁছলেন ডিএম, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, নদী পার করে হাসপাতালে
    বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি ও সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: সোমবার দড়িতে ঝুলে দুর্গত এলাকায় ওষুধ নিয়ে পৌঁছেছিলেন বিএমওএইচ ইরফান মোল্লা। মঙ্গলবার পে লোডারে চেপে নাগরাকাটার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শমা পারভীন। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট, সেতু। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ। ফলে কোনওমতেই গাড়িতে পৌঁছনো সম্ভব নয়। সে কারণে এদিন পে লোডারে চেপে বামনডাঙা সহ একের পর এক দুর্গত এলাকায় পৌঁছন জেলাশাসক। ত্রাণশিবিরে দুর্গতদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না খোঁজখবর নিয়েছেন। পৌঁছে দিয়েছেন খাবার, পানীয়জল এবং ওষুধপত্র। কোথায় কোথায় দ্রুত পুনর্গঠনের কাজ শুরুর প্রয়োজন, সেসবও খতিয়ে দেখেন তিনি।

    নতুন করে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় জল কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ ঘুচছে না নাগরাকাটার বাসিন্দাদের। জল কিছুটা কমতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নৌকা। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাঠিয়া নদী পারাপার করতে হচ্ছে বামনডাঙা, টন্ডু ও খেরকাটার বাসিন্দাদের। খাবার, ওষুধপত্র কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজনে কেউ ট্রাক্টরে চেপে পার হচ্ছেন নদী। কেউ আবার হেঁটেই পেরনোর চেষ্টা করছেন। বিপর্যয়ের পরই স্পিড বোট নিয়ে পৌঁছে যায় এনডিআরএফের টিম। সেই বোটে করেই বাসিন্দাদের নদী পার করানো হচ্ছিল। কিন্তু এখন নদীতে জল কিছুটা কমায় ওই বোট চালানো যাচ্ছে না।

    বৃদ্ধা মাকে নিয়ে এদিন হেঁটে গাঠিয়া নদী পেরচ্ছিলেন খেরকাটার বাসিন্দা পিতু ওরাওঁ। বললেন, মা অসুস্থ। সুলকাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। নৌকা নেই বলে ঝুঁকি নিয়ে হেঁটে নদী পেরতে হল। 

    তিনদিন আগে দুর্যোগে গাঠিয়া নদীর জল বেড়ে ভেসে যায় টানাটানি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড। ভেসে যায় বাড়িঘর, মানুষজন, গবাদি পশু। প্রশাসন সূত্রে খবর, বামনডাঙা ও টন্ডুতে প্রায় ছ’হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত।  ধূপগুড়ির জলঢাকা নদীতেও জল নামতে শুরু করেছে। যাঁদের বাড়িঘরের কিছুটা অবশিষ্ট হয়েছে, ত্রাণশিবির থেকে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছেন। নষ্ট হয়ে যাওয়া নথিপত্র তৈরি করে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষ ক্যাম্প শুরু হয়েছে বিভিন্ন ব্লকে। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন তিস্তা নদীর বাঁধে একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছিল। বাঁশের খাঁচা করে বালির বস্তা ও বোল্ডার ফেলে সেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচদপ্তর। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)