• ঘোকসাডাঙায় গন্ডারের খোঁজে নামানো হল চারটি কুনকি হাতি, ২টি হরিণ উদ্ধার করে জঙ্গলে পাঠিয়েছে বনদপ্তর
    বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: প্রবল বর্ষণে ভেসেছে অরণ্য। সেই জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বহু বন্যপ্রাণী। গন্ডারের মতো অতিকায় প্রাণীও রক্ষা পায়নি। জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে একটি গন্ডার তোর্সা নদী দিয়ে ভেসে চলে এসেছিল পুণ্ডিবাড়িতে। রবিবার সেটিকে দেখা যায়। এরপর থেকেই গন্ডারটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নামে বনদপ্তর। জলদাপাড়া থেকে নিয়ে আসা হয় দু’টি কুনকি হাতি। কিন্তু সোমবার রাতে গন্ডারটি সকলের চোখের আড়ালে চলে যায়। মঙ্গলবার তোর্সার ওপারে ঘোকসাডাঙার শালমারা দ্বিতীয় খণ্ড এলাকায় সেটিকে দেখা যায়। এর পরেই জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে আরও দু’টি কুনকি হাতি নিয়ে এসে গন্ডারটিকে বাগে আনার কাজে লাগানো হয়। 

    এদিন প্রেমেরডাঙা, ধওলাগুড়ি, খুট্টিমারি প্রভৃতি এলাকায় গন্ডারটি ঘুরে বেড়ায়। তাকে বাগে আনতে বনদপ্তরকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। দিনভর ওই সব এলাকায় প্রচুর মানুষ হাতি দিয়ে গন্ডারকে বনে ফেরানোর এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান। তোর্সার দুই পারে মোট চারটি হাতির সাহায্যে গন্ডারটিকে জঙ্গলে ফেরানোর জন্য দিনভর চেষ্টা চলে। জলদাপাড়া থেকে তোর্সায় ভেসে আসা গন্ডারটি এদিন মাঠে ময়দানে ছুটে বেড়িয়েছে। শালমারা দ্বিতীয় খণ্ড সহ যে সব এলাকায় দুপুর পর্যন্ত গন্ডারটি ছিল সেই জায়গাগুলি নদীর পলি পড়ে কর্দমাক্ত হয়ে আছে। রয়েছে কলা বাগান। মানুষের অগম্য সেই সব জায়গায় হাতির পিঠে চড়ে মাহুতেরা পৌঁছে গিয়েছেন গন্ডারের কাছাকাছি। 

    এই কাজের জন্য জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে ডায়না, সুন্দরমণি, বলরাম ও অম্বা নামে চারটি কুনকি হাতিকে নিয়ে আসা হয়। দু’টি হাতির মাহুতরা নদী পেরিয়ে তোর্সার ওপারে গিয়ে গন্ডারটিকে বাগে আনার চেষ্টা করেন। গত দু’দিন ধরে বক্সা পূর্ব-পশ্চিম, জলদাপাড়া ও কোচবিহার বনদপ্তরের সমস্ত রেঞ্জের কর্মী আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছেন। বনদপ্তরের কোচবিহারের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায়, এডিএফও বিজনকুমার নাথ সহ বনদপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থল থেকে পুরো বিষয়টির তদারকি করছেন।

    পুণ্ডিবাড়ি থানার রাজারহাট এলাকা থেকে একটি হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পাতলাখাওয়া জঙ্গল সংলগ্ন ছাট সিঙিমারি এলাকা থেকে আরওএকটি হরিণ উদ্ধার হয়েছে। সেগুলিকে জঙ্গলে ফেরানো হয়েছে।

    বনদপ্তরের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, চারটি কুনকি হাতির সাহায্যে গন্ডারটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে, সেটিকে জঙ্গলে ফেরানো হবে। দু’টি হরিণ উদ্ধার করে জঙ্গলে পাঠানো হয়েছে। 

     নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)