• গোয়ালতোড়ের সনকাপল্লি সুভাষ সংঘের ‘রাবণ পোড়া’ দেখার ভিড়
    বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, গোয়ালতোড়: মঙ্গলবার গোয়ালতোড়ে সনকাপল্লি সুভাষ সঙ্ঘের উদ্যোগে ‘রাবণ পোড়া’ অনুষ্ঠান ঘিরে উন্মাদনায় ভাসলেন বাসিন্দারা। এদিন ওই অনুষ্ঠান দেখতে নজরকাড়া ভিড় ছিল। সুভাষ সঙ্ঘের দুর্গাপুজো চলাকালীন যে সমস্ত প্রতিযোগিতা হয়েছিল, এদিন সেগুলির পুরস্কার বিতরণও করা হয়।

    এদিনের অনুষ্ঠানে গোয়ালতোড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনবন্ধু দে, গোয়ালতোড় থানার আধিকারিক পলাশ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুধাংশুশেখর মণ্ডল সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্যোক্তারা জানালেন, সনকা মন্দির খুব জাগ্রত। সারাবছর প্রচুর মানুষ মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। দশমীর দিন রাবণ পোড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টির জেরে সেদিনকার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। প্রায় ৪০ফুট উঁচু রাবণের মূর্তি এদিন পোড়ানো হয়েছে।ক্লাবের সভাপতি রামপ্রসাদ সাহা বলেন, এবছর প্রচুর মানুষ এসেছেন। পুলিশ নানাভাবে সহযোগিতা করেছে। তবে বৃষ্টির জন্য সমস্যায় পড়তে হয়। ১৯৬৭ সালে সনকাপল্লি সুভাষ সঙ্ঘের পথ চলা শুরু হয়েছিল। মূলত স্থানীয় যুবকরা সমাজসেবা করার উদ্দেশ্যেই ক্লাবটি গঠন করেন। সুভাষ সংঘের উদ্যোগে প্রতিবছর রক্তদান, বস্ত্রদান, স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করা হয়। করোনা সংকটের সময় ক্লাবের সদস্যরা মানবসেবায় নিয়োজিত ছিলে। এর ফলে ক্লাবের সদস্যরা এলাকার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

    গোয়ালতোড়ের সনকা মন্দিরের রাজ্যজুড়ে নাম রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মন্দিরে ভক্তরা পুজো দিতে আসেন। প্রতিবছর এখানে মা দুর্গাকে সনকারূপে পুজো করা হয়। তবে তিনবছর আগে থেকে দুর্গাপুজোর পাশাপাশি রাবণ পোড়ানোর অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    সুভাষ সঙ্ঘের সম্পাদক উজ্জ্বল দাস বলেন, অশুভ শক্তি ধ্বংসের বার্তা দিয়ে আমরা রাবণ পোড়াই। এটা আয়োজনের জন্য ক্লাবের সবাইকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আগামী দিনেও ক্লাবের সদস্যরা মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, এই ক্লাবের প্রত্যেক সদস্য সর্বদা মানুষের পাশে থাকেন। গতবছরের মতো এবারও রাবণ পোড়ানো দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছেন। ক্লাবের তরফে ভালো ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)