• লেপার্ড, গন্ডার, বাইসন সহ ১০টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত ডুয়ার্সের বনাঞ্চল
    বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় জায়গা ডুয়ার্স। অতিবৃষ্টি, ধস ও প্লাবনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল। প্রাণ হারিয়েছে একাধিক বন্যপ্রাণী। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত লেপার্ড, গন্ডার, বাইসন এবং হরিণের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে, মৃতের সংখ্যা বাড়তেও পারে বলে আশঙ্কা করছে বনদপ্তর। কারণ, এখনও সমস্ত জায়গায় তল্লাশি চালানো সম্ভব হয়নি। বহু এলাকায় কাদামাটি প্লাবিত হয়ে রয়েছে। তাই চূড়ান্ত রিপোর্ট এলে সংখ্যা বাড়তেও পারে। মরশুমের সময় ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটনও।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) সন্দীপ সুন্দ্যরিয়াল বলেন, ‘২টি লেপার্ড, ১টি মাদি গন্ডার, ৩টি বাইনস এবং ৪টি সাম্বার ডিয়ারের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জঙ্গলের সব জায়গায় এখনও পৌঁছনো যায়নি। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেতে এখনও সময় লাগবে।’

    বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুটি লেপার্ডের মধ্যে একটি কালিম্পংয়ের পাদদেশে লেটি কম্পার্টমেন্ট এলাকায় মারা গিয়েছে। অন্যটি জলদাপাড়ায়। মাদি গন্ডারটি মারা গিয়েছে গোরুমারায়। গোরুমারা ও জলদাপাড়ায় তিনটি বাইসন এবং চারটি সাম্বার হরিণ মারা গিয়েছে। অনেক বন্যপ্রাণ লোকালয়ের দিকে চলে এসেছিল। তাদের ফেরানো হয়েছে। মেচি নদীতে আটকে পড়া দুটি হস্তিশাবককে উদ্ধার করে জঙ্গলে ফেরানো হয়েছে।

    বিপর্যয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, গোরুমারা জাতীয় উদ্যান, জলপাইগুড়ি বনবিভাগসহ পাহাড়ি অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সঙ্গে সংযোগকারী কাঠের সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাদারিহাট ট্যুরিস্ট লজের সঙ্গে সংযোগকারী কাঠের সেতু, সালকুমার থেকে কাওচাঁদপাড়ার সঙ্গে সংযোগকারী কাঠের সেতু, এনইসি ক্যাম্প এবং ট্যুরিস্ট সাফারি পয়েন্টের সঙ্গে সংযোগকারী কাঠের সেতু ভেসে গিয়েছে। জলদাপাড়ায় প্রায় ২৩০ হেক্টর এবং গোরুমারায় ৪৫ হেক্টর তৃণভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলদাপাড়া বনাঞ্চলের রাস্তারও ক্ষতি হয়েছে। কুঞ্জনগরের ঝুলন্ত সেতু, যাওয়ার কালভার্ট ভেসে গিয়েছে। জলদাপাড়াতেও ৪টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোরুমারার গারাতি হাতি শিবির প্লাবিত হওয়ায় পানীয় জলের উৎস দূষিত হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)