পূর্ব কেশবপুরে নেই পিএইচই পাম্প বাড়ি বাড়ি জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত বাসিন্দারা
বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, আরামবাগ: আরামবাগ মহকুমাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পিএইচই প্রকল্পে পাম্প বসিয়ে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। তবে, এখনও পর্যন্ত আরামবাগ ব্লকের পূর্ব কেশবপুর গ্রামে বসানো হয়নি কোনও পিএইচই পাম্প। ফলে এই গ্রামের মানুষ বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের পরিষেবা পাচ্ছে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে বহুবার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দপ্তরে লিখিতভাবে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। আমরা আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ ব্লকের মলয়পুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব কেশবপুর, হরিণাখালি সহ কয়েকটি গ্রামে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অন্যান্য জায়গা থেকে অনেকটা নীচে রয়েছে। ফলে গ্রামবাসীদের টিউবওয়েল গভীরে বসানোর জন্য অনেক টাকা খরচ করতে হয়। পঞ্চায়েতের তরফে যে সমস্ত টিউবওয়েল বসানো হয়েছে, তাও বহু বছরের পুরনো। মাঝে মধ্যেই বিকল হয়ে পড়ে। এরফলে গ্রামবাসীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই গ্রামবাসীদের মধ্যে যাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো তাঁরা বাড়িতে সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে বাধ্য হয়েছেন। আর যাঁদের ব্যক্তিগত পাম্প বসানোর অর্থ নেই, তাঁদের নিত্যদিন সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বাড়ি থেকে হেঁটে কলসি বা বালতি নিয়ে দূরে পঞ্চায়েতের বসানো টিউবওয়েলে থেকে লাইন দিয়ে জল আনতে বাধ্য হতে হচ্ছে। গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আবেদন করে আসছেন। কিন্তু, তাঁদের আবেদনে সাড়া দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। শুধুই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই মৌজায় ছ’টি বুথ রয়েছে। এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছনোর দাবি করে এসেছি। আমাদের এই দাবিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমাদের দাবি মেনে আমাদের গ্রামে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে জল পৌঁছনো হলে আমরা খুবই উপকৃত হব। এই এলাকায় কেশবপুর হাইস্কুল, কেশবপুর কৃষ্ণপুর জুনিয়র হাইস্কুল, কেশবপুর জুনিয়র মাদ্রাসা, প্রাইমারি স্কুল, শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং আইসিডিএস সেন্টার রয়েছে। পিএইচই প্রকল্পে জল সরবরাহ করা হলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের থেকে শুরু করে সকলেই উপকৃত হবে।
পাম্প না হওয়ায় হ্যান্ড টিউবওয়েল থেকে জল নেওয়া হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র