সালারে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ, অভিযুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতী, ধৃত দুই
বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদদাতা, কান্দি: বন্ধুর সঙ্গে রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিল নাবালিকা। স্কুটিতে চেপে বাড়ি ফেরার সময় পথ আটকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। বন্ধুকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর উপর দীর্ঘক্ষণ ধরে নির্যাতন চলে। সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের সালারের এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। বাকি তিন অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ ও নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন রাত ৮টা নাগাদ ওই নাবালিকা বন্ধুর স্কুটিতে চড়ে স্থানীয় গ্রামের কাছে একটি রেস্তরাঁয় গিয়েছিল। সেখানে খেয়ে তাঁরা ওই স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু কাটোয়া-কান্দি রাজ্য সড়ক ধরে বাড়ি ফেরার সময় ওই রাস্তার একটি নির্জন এলাকায় একদল যুবক তাঁদের পথ আটকায়। পথ আটকে নাবালিকা ও তার বন্ধু স্কুটিচালক যুবককে মারধর করা হয়। সেখান থেকে ওই যুবক কোনওমতে পালিয়ে এলেও নাবালিকাকে আটকে রাখে অভিযুক্তরা। অভিযোগ, বন্ধু পালিয়ে আসার পর বছর ১৪-র ওই নাবালিকাকে পাঁচজন টানতে টানতে একটি জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কালভার্টের নীচে নিয়ে গিয়ে নাবালিকার উপর পাশবিক অত্যাচার চলে। নাবালিকা জানায়, দীর্ঘক্ষণ ধরে পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেছে। ব্যাপক মারধরও করা হয়েছে। সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসার পর ওই যুবক নাবালিকার মাকে ফোন করে ঘটনাটি জানায়। নাবালিকার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সালার থানার পুলিশ দ্রুত নাবালিকাকে উদ্ধার করে সালার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কান্দির এসডিপিও শাশ্রেক আম্বারদার সহ পুলিশের বড় একটি দল। রাতেই তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এক অভিযুক্ত ধানের জমিতে লুকিয়ে ছিল।
নাবালিকার মা পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সালার থানার ওসি তুষার মজুমদার বলেন, রেস্তরাঁ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পাঁচজন মিলে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম হুমায়ুন শেখ ও আসলাম শেখ। আরও তিনজন পলাতক। মঙ্গলবার ধৃতদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক দু’জনকে ১৪দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। সালার থানার পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ধৃতদের নিয়ে টিআই প্যারেড করার আবেদনও করা হয়েছে।