নিশ্চয় যানের আওতায় আসবে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, ডিসেম্বরেই হাওড়া জেলা হাসপাতালে সিসি ব্লকের কাজ শেষ করতে উদ্যোগী স্বাস্থ্যদপ্তর
বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: হাওড়া জেলা হাসপাতালকে অত্যাধুনিক ধাঁচের করে তুলতে জোরকদমে চলছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার (সিসি) ব্লক তৈরির কাজ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই হাসপাতালকে ঝাঁ চকচকে করে তুলতে উদ্যোগী স্বাস্থ্যদপ্তর। পুরোদমে হাসপাতাল চালু হয়ে গেলে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডগুলিকে অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা চলছে। একইসঙ্গে হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলির বেআইনি পার্কিং রুখতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দ্রের সুস্বাস্থ্য প্রকল্পে গত বছরের মার্চ মাসে হাওড়া জেলা হাসপাতালে একটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক এবং ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরি তৈরির কাজ শুরু হয়। এই কাজের জন্য হাসপাতালের ভিতরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বেশ কয়েকটি পুরনো বিল্ডিং ভেঙে ১০০ শয্যার সিসি ব্লক তৈরির কাজ শুরু হয়। এই সিসি ব্লক তৈরি করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় হাসপাতালের ডায়ালিসিস ও অক্সিজেন ইউনিটের দু’টি ঘর। এই দু’টি ইউনিটকে হাসপাতালের অন্য অংশে স্থানান্তর না করা পর্যন্ত কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কয়েক মাস আগেই সিসি ব্লক তৈরির কাজ খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রজেক্ট শেষ করার নির্দেশ দেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তারপরেই কাজে গতি আসে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জান গিয়েছে, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সিসি ব্লক তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে হাওড়া জেলা হাসপাতালে অনুমোদন প্রাপ্ত বেডের সংখ্যা ৬৫০টি। এরমধ্যে ৫১৬টি কার্যকর অবস্থায় রয়েছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লকে বেডের সংখ্যা হবে ১০০টি। ফলে জেলা হাসপাতালে বাড়বে রোগীর চাপ। সেই চাপ সামলাতে সাউথ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে চারতলা ভবনে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলা হাসপাতাল থেকে ভেগাবন্ড ওয়ার্ড ও ইএনটি ওয়ার্ডকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ কিশলয় দত্ত বলেন, ‘হাওড়া জেলা হাসপাতালে পার্কিং বড় সমস্যা। বাইরে থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। সরকারি নির্দেশ না মানলে কোনও অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে না।’
জানা গিয়েছে, শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্লক থেকে যে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলি হাওড়া হাসপাতালে ঢোকে, সেগুলিকে সরকারি নিশ্চয় যানের আওতায় আনা হবে। এজন্য প্রশাসনের তরফে ওই অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে সরকারি পোর্টালের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হবে। জেলা হাসপাতালের ভিতরে পাকাপাকিভাবে পুলিশ আউটপোস্ট তৈরি হলে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্যদপ্তর।