কলকাতার রাস্তায় পড়ে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের বাঁশ, সমস্যায় পথচারীরা, বহু জায়গায় খোলাই হয়নি ব্যারিকেড
বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দুর্গাপুজো কবে শেষ হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্মীপুজোও শেষ। এতদিন বাদেও শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে মণ্ডপ ও বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের বাঁশ, বাটাম, কাপড়, পেরেক। রাস্তায় ব্যারিকেডের জন্য ব্যবহৃত শালকাটের খুঁটিও পড়ে
রয়েছে ডাঁই হয়ে। সবমিলিয়ে শহরের যানবাহনের গতি হয়ে গিয়েছে শ্লথ। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। নাগরিকদের ক্ষোভ বাড়ছে। সবার বক্তব্য, ‘এই আবর্জনা সরাতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভোগান্তি বাড়তেই
থাকবে। এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার না হলে দুর্ঘটনা ঘটবে’
মঙ্গলবার টালা ব্রিজ, শ্যামবাজার ভূপেন বোস অ্যাভিনিউ, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ, বিডন স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি ইত্যাদি এলাকায় ঘুরে দেখা গিয়েছে, এই ব্যস্ত রাস্তাগুলির বিভিন্ন প্রান্তে বাঁশ পড়ে রয়েছে। কোথাও রাস্তার ধারে দেওয়া গার্ডরেলের আশপাশে পড়ে রয়েছে বাঁশ। বিপজ্জনকভাবে পড়ে রয়েছে ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উত্তর কলকাতার যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউয়ের বিভিন্ন অংশে ব্যারিকেডের মোটা মোটা শালখুঁটি ও বাঁশ রাস্তায় রাখা। এই এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে একই দৃশ্য চোখে পড়েছে এদিন। এর পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে পুজোর বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের কাঠামো পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। মহাত্মা গান্ধী রোড সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় হোর্ডিং খোলাই হয়নি। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, ‘বিশাল আকারের হোর্ডিং এখনও রাস্তাজুড়ে রাখা। ফলে সেখানে রোদ-বাতাসের গতিরোধ হচ্ছে। স্থানীয় মানুষের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ঘটছে দৃশ্যদূষণও। অথচ এসব নিয়ে প্রশাসনের কোনও হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।’
যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা গোপাল দাস বলেন, ‘পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকে রাস্তার ধারে বাঁধা হয়েছিল ব্যারিকেড। কিন্তু পুজো মিটে গেলেও তা খোলা হল না। সে কারণে সমস্যা বাড়ছে। অথচ এই রাস্তাটি শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।’ ধর্মতলায় যাওয়ার জন্য শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে ভূপেন বোস অ্যাভিনিউতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শৈলেন কর্মকার। তিনি বলেন, ‘শ্যামবাজারের মতো জনবহুল পাঁচরাস্তার মোড়ে কীভাবে এখনও রাস্তার ধারে বাঁশ পড়ে থাকে? সেটা ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছি।’ আরজি কর রোডের বাসিন্দা তপতী সাঁতরা বলেন, ‘এই এলাকায় রাস্তার দু’ধারে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ের কাঠামো সার দিয়ে রাখা। এই যন্ত্রণা থেকে কবে যে মুক্তি পাব কে জানে।’
কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ জানিয়েছে, লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত এই বিজ্ঞাপনের কাঠামো লাগিয়ে রাখার অনুমোদন দেওয়া আছে। এগুলি খোলার দায়িত্ব আমাদের নয়। অনেক জায়গা থেকে অনেক পুজো কমিটি বা বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাগুলি এগুলি ইতিমধ্যে খুলেও ফেলেছে। বাকি জায়গাগুলিতেও খুলে দেওয়া হবে বলে আমরা আশাবাদী। নিজস্ব চিত্র