নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কড়েয়ায় প্রকাশ্য রাস্তায় যুবককে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত পৌঁনে ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। আহত যুবক মহম্মদ তাবরেজের কোমর, হাত সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। সব মিলিয়ে ২৪টিরও বেশি সেলাই পড়েছে শরীরে। ওই যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টা সহ বিভিন্ন ধারায় কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মহম্মদ তাবরেজ ও মহম্মদ আমির তপসিয়ার মসজিদ বাড়ি লেনে একটি বাইকের উপর বসে গল্প করছিলেন। প্রতিদিন রাতেই দুই বন্ধু দীর্ঘক্ষণ গল্পগুজব করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা ফাহিম কিছুক্ষণ আগে ওখানে এসে তাঁদের সামনে দিয়ে ঘুরে যায়। তাঁরা ফাহিমকে আগে থেকেই চিনতেন। রাত পৌঁনে ১টা নাগাদ ফাহিম ফের সুফিয়ান ও তার আরেক বন্ধুকে নিয়ে হাজির হয় সেখানে। তারা তাবরেজকে স্থানীয় একটি অ্যাপার্টমেন্টে যেতে বলে। কিন্তু তিনি আড্ডা ছেড়ে যেতে রাজি হননি। একথা শোনার পরই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে তিন যুবক। তাবরেজের দাবি, হঠাৎই সুফিয়ান ছুরি বের করে তাঁর কোমর, কনুই, হাত লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও দু’জন। এতে কোমর, বাঁ হাতের কব্জি থেকে কনুই পর্যন্ত ফালাফালা হয়ে যায়। গলগল করে রক্ত ঝরতে থাকে। তিনি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। তাঁদের আসতে দেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাবরেজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। ক্ষত গভীর হওয়ায় তাঁর শরীরে ২৪টি সেলাই পড়ে। ভোরের দিকে তাঁকে ছাড়া হয় হাসপাতাল থেকে। এরপর তিনি কড়েয়া থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, আহত যুবক ও অভিযুক্তরা পরস্পরের পরিচিত। তাবরেজের সঙ্গে তারা বিভিন্ন সময় পার্টিও করেছে। তবে তাদের মধ্যে পুরনো বিবাদ রয়েছে। এর আগেও ঝামেলা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকরা এলাকায় বেআইনি কল সেন্টার চালায় বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোককে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের অনুমান, তাবরেজকে আটকে রেখে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্য থাকতে পারে অভিযুক্তদের। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।