• গড়িয়া-বোড়াল রোড সংস্কারে বরাদ্দ সাত কোটি টাকা, কাজ শুরু নভেম্বরে
    বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একদিকে কলকাতা পুরসভার আওতাভুক্ত গড়িয়া অঞ্চল, অন্যদিকে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা। গড়িয়া বোড়াল মেইন রোড দুই পুরসভা এলাকার সীমানা বরাবর এগিয়েছে। রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা খানাখন্দে ভর্তি। নেই কোনও ফুটপাত। অনেক জায়গায় গর্ত ভরাট করতে ইট ফেলা হয়েছিল। কিন্তু বহু জায়গায় বৃষ্টির জলে ধুয়ে তা উঠে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তির শেষ নেই। 

    এই অবস্থা সামলাতে আপাতত বোড়াল মেইন রোডের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ (১.০৭ কিমি) সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, নভেম্বরে কাজ শুরু হবে। একইসঙ্গে গড়িয়া হাটের বাজার মোড় থেকে টিবি হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার প্রায় ২০০ মিটার অংশে কংক্রিটের ব্লক বসানো হবে যাতে ওই অংশ টেকসই হয়। কারণ ওখানে একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। রাস্তাটি মেরামত করতে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় সাত কোটি টাকা। 

    রাস্তাটি বোড়াল মেইন রোড নামে পরিচিত হলেও সেটির নাম গড়িয়া-বোড়াল-রাজপুর বাজার রোড। গড়িয়া মোড় থেকে বোড়াল হয়ে গিয়েছে পথটি। গিয়েছে বনহুগলি পর্যন্ত। গড়িয়া থেকে বোড়ালমুখী হলে এই রাস্তার ডানদিকে রয়েছে কলকাতা পুরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ড। বাঁদিকে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড। আপাতত কলকাতা পুরসভার সীমানা যেখানে শেষ হচ্ছে, সেখানে রাস্তা নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

    স্থানীয় বাসিন্দা শংকর চক্রবর্তীর কথায়, রাস্তার অবস্থা বিভিন্ন জায়গায় খুব খারাপ। কঙ্কালসার অবস্থা। বৃষ্টিতে আরও জঘন্য হয়েছে। প্রচণ্ড ধুলো ওড়ে। সংস্কার অত্যন্ত জরুরি।  

    বিভাগীয় সূত্রে খবর, তৈরি হবে নয়া ফুটপাত। রাস্তার দু’ধারে বসবে রেলিং। ২০ ফুট চওড়া করা হবে রাস্তা। 

    কলকাতা পুরসভার ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ দাস বলেন, কলকাতার আওতাভুক্ত আতাবাগান, ঊষাপল্লি, রামকৃষ্ণ নগর, আনন্দশ্রী ও কামডহরি পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের নিত্য চলাচলের পথ এটি। পাশাপাশি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বাসিন্দাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে রাস্তাটি প্রয়োজনীয়। 

    দেখা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে গড়িয়া হাটের মোড় থেকে চিড়ের মোড় পর্যন্ত এই রাস্তা সবসময় খারাপ অবস্থায় থাকে। এই পথের ধারে রয়েছে গড়িয়া শ্মশান, টিবি হাসপাতাল, বোড়াল হাইস্কুল। রাস্তার বেহাল দশার কারণে মানুষকে যাতায়াতে অত্যন্ত দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস 

    নিজে উদ্যোগ নিয়ে পূর্তদপ্তরকে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছেন। তাঁর সংযোজন, টানা বৃষ্টি চলেছে। বর্ষায় এই কাজ করা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত 

    নেওয়া হয়েছে নভেম্বরের প্রথম দিকে কাজ শুরু হবে। আগামী দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)