নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: মঙ্গলবার সাতসকালে এক যুবকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দেগঙ্গা থানার শ্বেতপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শরিফুল ইসলাম (৩৫)। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে দেগঙ্গা থানায়। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত গৃহবধূ তথা প্রেমিকা ইসমাতারা বিবিকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শরিফুল ও ইসমাতারার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেই প্রেমিকার হাতে খুন হন শরিফুল। ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত ইসমাতারাকে আজ বারাসত আদালতে পাঠিয়ে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শরিফুলের বাড়ি দেগঙ্গা ব্লকের সোহাই-শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের শ্বেতপুর গ্রামে। তিনি চাষবাস করেন। বাড়িতে দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। প্রতিবেশী এক মহিলার সঙ্গে বেশ কয়েকমাস ধরেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন শরিফুল। সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। অশান্তি শুরু হয়েছিল। সোমবার রাত সাড়ে সাতটার সময় শরিফুল বাড়ি থেকে বের হন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও শরিফুল বাড়ি ফেরেননি। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পরিবার। স্বামীর সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেননি। মঙ্গলবার সাতসকালেই শ্বেতপুর গ্রামের ভিতর একটি পার্কের পিছনের দিকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় শরিফুলের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। মৃতের স্ত্রী রোজিনা বিবি বলেন, সোমবার রাত সাড়ে সাতটায় বাড়ি থেকে বের হয় স্বামী। বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পর ফোন করি। কিন্তু ফোন বন্ধ। এদিন সকালে স্বামীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। দুই সন্তানকে নিয়ে এখন কীভাবে সংসার চলবে ভেবে পাচ্ছি না। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, শরিফুলের সঙ্গে প্রতিবেশী ইসমাতারার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। নতুন করে তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন থেকেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় শরিফুলকে। তবে, এটা একা কোনও মহিলার কাজ নয় বলেই অনুমান পুলিশের। তাই এর পিছনে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃত শরিফুল ইসলাম।-ফাইল চিত্র