• ‘বেবি পাহাড়’-এ বহুতল নয়, পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • এই সময়, দুধিয়া: ‘বেবি পাহাড়’ মিরিকে বহুতল তৈরি না-করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মিরিক মহকুমার দুধিয়ায় দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ধসে চাপা পড়ে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা বিলি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই টাকা বিলি করেন। সেই সঙ্গে দুধিয়ায় বালাসন সেতুর জলস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৯ জনকে ত্রাণ বিলি করা হয়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ও ডুয়ার্সে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ বিশ্লেষণ করে মিরিকে বহুতল তৈরি না-করার কথা বলেন।

    গত এক দশকে দার্জিলিংয়ের মতো মিরিকেও একের পর এক বহুতল উঠেছে। অথচ দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের তুলনায় মিরিক বয়স একেবারেই নবীন এবং ভঙ্গুর। এ দিন মমতা বলেন, ‘মিরিকে বহুতল বানাবেন না। এটা বেবি পাহাড়।’

    এ ব্যাপারে তিনি তুলনা করতে গিয়ে ভুটানের উদাহরণ দেন। তাঁর কথায়, ‘ভুটান কিন্তু বহুতল তৈরি করতে দেয় না। ওদের দেশে অনেকটা অংশ সমতল। সেটা অবশ্য ওদের একটা সুবিধা।’

    এই বিপর্যয়ের জন্য এ দিনও তিনি ভুটান এবং সিকিমের দিকেই আঙুল তোলেন। তাঁর দাবি, সিকিমে প্রায় ১৪টি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করেছে ভুটানও। শনিবার রাতের প্রবল বৃষ্টিতে সিকিমের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ব্যারাজের গেট খুলে জল বের করে দেয়।

    একই ভাবে ভুটান চারটে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমস্ত গেট আগে থেকেই খুলে রেখেছিল। ফলে বিপুল জলরাশি হড়পা বানের মতো ছড়িয়ে পড়ে ডুয়ার্সে। নিজের যুক্তির পক্ষে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘না-হলে নাগরাকাটা তো লো-ল্যান্ড নয়। সেখানে কেন এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে?’

    তিনি জানান, এখনও পযর্ন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৪-৫ জন নাবালক। দু’টি দেহ ভুটান ও নেপাল থেকে ভেসে এসেছে। আপাতত জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং দার্জিলিং জেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নজরদারির জন্য সাত আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দু'-তিন পরে তিনি ফের তদারকির কাজে আসবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

  • Link to this news (এই সময়)