• দুর্যোগের মেঘ সরতেই কাঞ্চনজঙ্ঘার হাতছানি, আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা
    প্রতিদিন | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নব্যেন্দু হাজরা: উত্তরে আকাশের মেঘ কেটেছে। কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপে মোহিত হচ্ছেন সকলে। কিন্তু পর্যটকদের মনের আশঙ্কার মেঘ এখনই পুরোপুরি কাটছে না। তাই অনবরত ফোন পর্যটন দপ্তর এবং টুর অপারেটরদের হেল্পলাইন নম্বরে। দার্জিলিংয়ের রাস্তা কি খোলা? লাভা যেতে হলে সমস্যা হবে না তো? আচ্ছা, গ্যাংটক যাওয়ার রাস্তা নাকি বন্ধ! এমনই হাজারও ফোন এসেই চলেছে। হুগলির চণ্ডীতলা থেকে নদিয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা কে নেই সেই তালিকায়! কেউ কেউ আবার আপাতত উত্তরবঙ্গ যাত্রা স্থগিত রাখতে চাইছেন। তবে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বিপর্যয় কাটিয়ে আবারও ছন্দে ফিরছে উত্তরবঙ্গে।

    বিপর্যয়ের পর মুহূর্ত থেকেই প্রশাসন খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তৎপর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হয়েছে। বিরিকদারায় ধস সরিয়ে সে রাস্তাও খুলে গিয়েছে। খুলে গিয়েছে অধিকাংশ রাস্ত্রই। ফলে এনজেপি বা শিলিগুড়ি থেকে বেড়াতে যেতে খুব একটা সমস্যা নেই। দুর্যোগের খবরে অনেকে টুর বাতিল করার কথা ভেবেছেন। কিন্তু পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে পাহাড়। কয়েকটি জায়গা বাদ দিয়ে বাকি অংশে পর্যটকদের যেতে কোনও সমস্যা থাকবে না। আগামী তিন মাস উত্তরবঙ্গে ভরা পর্যটনের মরশুম। কিন্তু শনিবার রাতের বিপর্যয়ে আচমকাই কালো মেঘ ঘনিয়েছিল সেখানে। তবে তা ধীরে ধীরে কাটছে বলেই জানাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আটকে থাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। গত দু’দিনে বহু পর্যটক টুর বাতিল করলেও ফের পরিস্থিতি বুঝে ফের তাঁরা যাওয়ার নতুন দিনক্ষণ ঠিক করে জানানো শুরুও করেছেন।

    তবে যে সমস্ত জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভয়াবহভাবে সেখানে যাওয়ার প্ল্যান বাতিল করে নতুন জায়গা ঠিক করছেন পর্যটকরা। রাজ্যের পর্যটন দপ্তর এবং উত্তরবঙ্গে টুর অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া হেল্পলাইন নম্বরে অবিরাম ফোন আসছে। নিজেদের টুর প্ল্যান, দিনক্ষণ জানিয়ে তখন বেড়াতে যাওয়া যাওয়া ঠিক কি না সে প্রশ্নই আসছে বেশি। এদিকে দার্জিলিংয়ে থাকা পর্যটকরা জানাচ্ছেন, প্রকৃতির এমন রূপ তাঁরা এর আগে দেখেননি। মঙ্গলবার দার্জিলিং থেকে ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গিয়েছে। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে পাহাড়। প্রশাসন খুব ভালো কাজ করেছে। পর্যটকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁরা উত্তরবঙ্গে আসতেই পারেন বেড়াতে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)