সোনাদায় যে হোমস্টে-তে গিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ পড়ুয়া হিমাদ্রি পুরকাইত, শনিবার রাতে ছিলেন তারই বাইরেএকটি তাঁবুতে। জলের গর্জন পেয়ে তিনি দ্রুত ফোন করেন হোমস্টে-র লোকজনকে। বান আসছে জানিয়ে পালাতে বলেন সকলকে। তবে তার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবারও দার্জিলিং মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হিমাদ্রির খোঁজ চলছে।
এ দিকে, হিমাদ্রির খোঁজ না মেলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের কামারপোলের বাড়িতে চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন পরিজনেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, পাহাড়ের প্রতি বরাবরই টান ছিল হিমাদ্রির। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব নিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু নানা যোগাযোগের মাধ্যমে মাঝেমধ্যেই চলে যেতেন পাহাড়ে। বিভিন্ন হোমস্টে-র সঙ্গে কিছুকাজেও যুক্ত ছিলেন। শনিবার রাতে মাকে ফোনে জানিয়েছিলেন, আবহাওয়া খারাপ হয়েছে। তারপরে মাঝরাতের দিকে ঘটে বিপর্যয়। তার পর থেকেই হিমাদ্রির সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করাযাচ্ছে না।
সোনাদা গ্রামের একাংশ কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে প্রবল বৃষ্টি এবং নদীর জলের তোড়ে। বড় বড় গাছ, বোল্ডার, কাদার স্রোতে বহু হোম স্টে, হোটেল, কটেজ তছনছ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হিমাদ্রির বাবা প্রশান্ত মঙ্গলবার বলেন, ‘‘এত দিন হয়ে গেল, ছেলেকী অবস্থায় আছে, কিছুই জানি না। ওর মা ভেঙে পড়েছেন। সকলে মিলে খোঁজ করার চেষ্টা করছি। পুলিশ-প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি। যে কোনও মূল্যে ছেলেকে ফিরেপেতে চাই।’’
রবিবার হিমাদ্রির বাড়িতে হাজির হয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধিরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখার কথাও জানিয়েছিলেন তাঁরা। সাংসদের প্রতিনিধি শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি সাংসদ জানেন। তিনি ওঁর পরিবারের পাশে থাকতে বলেছেন আমাদের। উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে সাংসদ প্রতিনিয়ত খোঁজ রাখছেন। হিমাদ্রির খোঁজে ওই সব এলাকায় ভাল করে তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে।’’