রাজ্যের যে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য-জট কেটেছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পছন্দের নামগুলিই মান্যতা পেয়েছে বলে মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে সন্তোষ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম পছন্দের নামগুলিই সরকার পোষিত আরও ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সিলমোহর পেয়েছে। এর জন্য সর্বোচ্চ আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিষয়টি সংবিধান এবং গণতন্ত্রের জয় হিসেবে মেলে ধরেন ব্রাত্য।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস এবং রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা ফের উল্লেখ করেন যে, বিচারপতিরা সোমবার প্রথমে আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের নাম চূড়ান্ত হওয়ার কথা বললেও আসলে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশিত নির্দেশে বলা হয়, “আচার্যের তরফে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীদের কথা শোনা হয়েছে। দু’পক্ষের কথা শুনে স্পষ্ট, ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে বাধা থাকল না।”
সরকারি সূত্রের খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আশুতোষ ঘোষ, যাদবপুরে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, গৌড়বঙ্গে আশিস ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে চন্দ্রদীপা ঘোষ, বিশ্ব বাংলায় আবু তালেব এবং কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে সিলমোহর পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বাধীন কমিটি ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য বাছাই করেছে। এর পরে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া মেনে রাজ্যপাল তথা আচার্যের সই এলেই স্থায়ী উপাচার্যদের দায়িত্বভার নেওয়ার কথা।
তবে এই ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জট কাটলেও আরও ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। রাজভবন বা নবান্নের তরফে কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু আপত্তির দিক উঠে এসেছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিষয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর দুপুর দুটোয় বিচারপতিদের চেম্বারে আলোচনা হবে। এ দিন সুপ্রিম কোর্টেও বিচারপতিরা ১৫ অক্টোবরের বৈঠকের আগে দু’পক্ষের আইনজীবীদের একবার অ্যাটর্নি জেনারেলের বাড়িতে বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে নিতে পরামর্শ দেন।