• আগরতলা বিমাবন্দরে দীর্ঘক্ষণ বচসা, পুলিশের গাড়িতে পার্টি অফিসে যাচ্ছে TMC-র প্রতিনিধি দল, মমতা বললেন...
    এই সময় | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ত্রিপুরায় গিয়ে বাধার সম্মুখীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার আগরতলা বিমানবন্দরে নামে তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকেই তাঁদের ঘটনাস্থলে যেতে হচ্ছে না বলে দাবি করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিমানবন্দরেই ধর্নায় বসেন তাঁরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ত্রিপুরা পুলিশের দুটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ত্রিপুরায় আমাদের টিমকে আটকানো হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের প্রিপেড ট্যাক্সিও নিতে দেওয়া হয়নি। ত্রিপুরায় অভিষেকের গাড়িতেও হামলা হয়েছিল। বিজেপি আবার গণতন্ত্রের কথা বলে।’

    এ দিন দুপুর একটা নাগাদ আগরতলা পৌঁছন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ, রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা ও তৃণমূলের এক মুখপাত্র। তৃণমূলের অভিযোগ, বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের জন্য নির্ধারিত গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। এমনকী, বিমানবন্দরের বাইরে থাকা প্রিপেড ট্যাক্সিও নিতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি।

    ঘটনাস্থলে যেতে না পেরে বিমানবন্দরের সামনেই ধর্নায় বসে পড়েন সকলে। সায়নী ঘোষ বলেন, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার চালিত রাজ্যে দুয়ারে গুন্ডারাজ, আর বাংলার দুয়ারে সরকার; এটাই বিজেপি আর আমাদের দলের পার্থক্য! ত্রিপুরায় আমাদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বিমানবন্দরের বাইরে তাঁদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় সহায়তা করছে না। বিজেপি সরকার যদি বিরোধী দলের সাংসদ বা মন্ত্রীদের নিরপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়, তা হলে তারা সাধারণ মানুষকে কী ভাবে সুরক্ষা দেবে?’

    তৃণমূল বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও দলের লোকেরাই বুক উঁচিয়ে ঝান্ডা উড়িয়ে ঘুরতে পারে বাংলার বুকে। কিন্তু বিজেপির রাজ্যগুলিতে সাধারণ গাড়িটুকুও পাচ্ছেন না আমাদের প্রতিনিধি দল।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগরতলা বিমানবন্দরেই অবস্থান করছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা।

    মঙ্গলবার রাতে আগরতলায় তৃণমূলের দলীয় দপ্তরে ভাঙচুর করেছেন বিজেপির নেতা–কর্মীরা বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতে আগরতলায় তৃণমূলের দলীয় দপ্তরে ভাঙচুর করা হয়েছে। বাংলায় ভোটে তৃণমূলের কাছে একাধিকবার পরাজিত হয়ে প্রতিহিংসার মনোভাব দেখিয়ে এই হামলা করা হয়েছে। রাতেই একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

  • Link to this news (এই সময়)