পিকনিকে তুমুল হুল্লোড়, নিমেষে সব শেষ! পরিবারের চোখের সামনে বাঁধের জলে তলিয়ে গেলেন ৭ জন
আজকাল | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: পিকনিকে তুমুল হুল্লোড়। তার মাঝেই বিপত্তি। হুল্লোড় শেষে আর বাড়ি ফেরা হল না এক পরিবারের একাধিক সদস্যের। পিকনিকের মাঝেই বাঁধের জলে তলিয়ে গেলেন এক পরিবারের সাতজন সদস্য। এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনকে উদ্ধার করা গেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল কর্ণাটকের তুমাকুরুতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মার্কোনাহাল্লি বাঁধের ধারে পিকনিকে গিয়েছিলেন এক পরিবারের একাধিক সদস্য। সেখানেই খাওয়াদাওয়া, নাচগানে মেতেছিলেন সকলে। ছবিও তুলেছিলেন বাঁধে নেমে। সেই বাঁধের জলের তোড়ে সাতজন তলিয়ে যান। ছয়জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।
পুলিশ আধিকারিক অশোক কেভি জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৫ জন একসঙ্গে পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা ও শিশু বাঁধের জলে নেমে ছবি তুলছিলেন। আচমকাই জল ছাড়া হয় সেই ড্যামে। ক্রমেই বাড়তে থাকে জলস্তর। সেই জলের তোড়ে সকলে ভেসে যান। সাতজনেই মুহূর্তের মধ্যে ভেসে যান।
স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল বাহিনী। কয়েক ঘণ্টা পর নওয়াজ নামের এক যুবককে বাঁধ থেকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজনের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে আজ সকালে। দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই এমন এক দুর্ঘটনা ঘটেছিল অন্য রাজ্যে। নদীর ধারে পিকনিকে গিয়েছিলেন বন্ধুরা মিলে। সেই নদীতেই ডুবে গেলেন পরপর তরুণ। মৃত্যু হল আটজনের। বাকিরা প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন। কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর আরও তিনজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের টঙ্ক জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ১১ জনের একটি দল বনাস নদীর তীরে পিকনিক করতে এসেছিল। সকলে মিলে দুপুরে ওই নদীতেই স্নান করতে নামেন। তীরের কাছাকাছি থাকলেও, স্নান করতে করতে অনেকেই নদীর মাঝামাঝি চলে যান। এরপরই ঘটে বিপত্তি।
মাঝ নদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পরপর তরুণ তলিয়ে যান। কেউ কেউ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। সকলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এলাকায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ। পুলিশ জানিয়েছে, আটজনকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বাকি তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিন বন্ধুর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। সকলের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। জয়পুর থেকে বনাস নদীর ধারে পিকনিক করতে এসেছিলেন। কীভাবে তাঁরা তলিয়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর সমবেদনা জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা।