তুচ্ছ বচসায় স্ত্রীকে বেলনচাকি দিয়ে পিটিয়ে খুন! সন্তানদের কথায় ফাঁস হল বাবার কীর্তি, শহরে হাড়হিম কাণ্ড
আজকাল | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বচসার জেরে স্ত্রী'কে রুটি বেলার বেলনা (বেলনচাকি) দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২ অক্টোবর মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম প্রীতি সিংহ (২৮)। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী ছোটা লাল সিংহ (৩২)-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা ওই দম্পতি দুই সন্তানকে নিয়ে বেঙ্গালুরুর চোক্কাসান্দ্রা এলাকায় থাকতেন। তাঁরা দু'জনেই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন বলে খবর মিলেছে৷
অভিযোগ, ছোটা লাল প্রায়শই নানা ছুতোনাতায় স্ত্রী প্রীতির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রীতি খাওয়ার জন্য বাড়ি ফিরলে, স্বামীর সঙ্গে তাঁর তীব্র বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, এর পরেই রুটি বেলার বেলনা দিয়ে স্ত্রীর মাথায় এবং শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকে সে।
পরে গুরুতর জখম অবস্থায় স্ত্রী'কে টি দাসারাহাল্লি এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে অপরাধ ঢাকার জন্য চিকিৎসকদের কাছে মিথ্যে বলে যে, তাঁর স্ত্রী বহুতল থেকে পড়ে গিয়েছেন।
কিন্তু সত্যি চাপা থাকেনি। ওই দম্পতির দুই সন্তান তাদের মায়ের কর্মক্ষেত্রে মালিকের কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বলে। তারা জানায়, তাদের বাবা'ই মাকে মারধর করেছে। এর পরেই ওই সংস্থার মালিক পিনায়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জেরার মুখে স্ত্রীকে বেলনা দিয়ে নৃশংস ভাবে মারধরের কথা স্বীকার করে নেয় ছোটা লাল। এর পরেই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ আরও জানায়, হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াই চালানোর পর গত ২ অক্টোবর মৃত্যু হয় প্রীতির।
প্রসঙ্গত, অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, এই সন্দেহে স্ত্রী ও নিজের নাবালক সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার অন্তর্গত আন্ডিরণ হালদারপাড়ায়। বেলডাঙা থানার পুলিশ ইতিমধ্যে তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তিদের নাম সঞ্জিত হালদার (৩৬), মৌসুমী হালদার (২৮), এবং তাঁদের সন্তান রায়হান হালদার (৭)। রায়হান আন্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে বেলডাঙা থানার নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা মৌসুমির সঙ্গে সঞ্জিতের বিয়ে হয়। কিন্তু প্রায়শই ওই দম্পতির মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হতো। মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ওই দম্পতির মধ্যে কিছু গন্ডগোল হওয়ার পর রাতে দু'জনে একই ঘরে ঘুমাতে চলে যায়। বুধবার সকালে সঞ্জিতের বাড়ির লোকেরা দেখতে পান ওই ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যান থেকে সঞ্জিতের দেহ ঝুলছে। এরপর সঞ্জিতের মা চিৎকার শুরু করলে পাড়ার লোকেরা ঘরের মধ্যে ঢুকে মৌসুমী এবং রায়হানের রক্তাক্ত দেহ খাটের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমী এবং রায়হানকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে সঞ্জিত খুন করে। এরপর তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য করাত দিয়ে গলা কেটে দেয়।
এরপর সঞ্জিত নিজেই ঘরের মধ্যে দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মঘাতী হয়। ইতিমধ্যে পুলিশ হত্যার জন্য ব্যবহৃত হাতুড়ি এবং করাত উদ্ধার করেছে।