• কুণাল ঘোষ
    আজকাল | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগরতলা বিমানবন্দরে ধর্নায় বসলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তাদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। যে চারটি গাড়ি করে তৃণমূল প্রতিনিধিদলের যাওয়ার কথা ছিল সেখানে তিনটি গাড়িকেই ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এরপরই বিমানবন্দরের বাইরে ধর্নায় বসে পড়ে প্রতিনিধিদলটি। 

    তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিনিধিদলকে আটকানো হয়েছে। এখানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা সকলেই দেখেছে। এরপর সেখান থেকে এই ঘটনা প্রমাণ করছে কীভাবে এখানকার পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। 

    ত্রিপুরার তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুর নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। বুধবার সকালেই ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তৃণমূলের ৫ সদস্যেদর প্রতিনিধি দল। সেখানে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ত্রিপুরার আগের কথা মনে করিয়ে বললেন, “আমাদের নেতা-নেত্রীদের উপর হামলা হয়েছে। অভিষেকের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। অতীতে অভিজ্ঞতাও ভয়ংকর। এখনও নানারকমভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” এবার ফের হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এরপরই প্রতিনিধি দলে থাকা সায়নী ঘোষ বললেন, “এভাব দমিয়ে দেওয়া যাবে না। ত্রিপুরার কর্মীদের পাশে তাঁরা ছিলেন, আছেন থাকবেন।”

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। ওইদিন আগরতলার তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। রীতিমতো লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। ছেঁড়া হয় তৃণমূলের পতাকা, ফ্লেক্স। কার্যালয়ের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় সেগুলি। অভিযোগ, পুলিশ বাধা দিলেও কোনও লাভ হয়নি। তৃণমূলের দাবি, এই হামলার নেপথ্যে বিজেপি।  এক্স হ্যান্ডেলে এই হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে লেখা হয়, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা কার্যালয়ে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের নৃশংস হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। ক্ষমতাসীনরা যখন তাঁদের বিরোধীদের স্তব্ধ করতে হিংসাকে হাতিয়ার করছে, তখন তারা শক্তি নয়, নিজেদের ভয় ও নৈতিক দেউলিয়াকেই প্রকাশ করছে।’

    মঙ্গলবারই ত্রিপুরায় প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছিল তৃণমূল। পরিকল্পনামাফিক এদিন সকালে রওনা দেন কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, সুদীপ রাহা-সহ পাঁচজন। বিমানবন্দর থেকেও বিজেপিকেই নিশানা করলেন তাঁরা। বুঝিয়ে দেন পরিকল্পনা মাফিক যে অত্যাচার করে চলেছে বিজেপি, তাতে তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।  
  • Link to this news (আজকাল)