• ট্যাঙ্কের জলে পচা পচা গন্ধ, ১০ দিন ধরে সেই জল খাচ্ছিলেন পড়ুয়া, কর্মীরা, অবশেষে উদ্ধার পচাগলা দেহ! ...
    আজকাল | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: যোগীরাজ্যের মেডিক্যাল কলেজে ভয়াবহ ঘটনা। মেডিক্যাল কলেজের ট্যাঙ্ক থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তবুও টানা ১০ দিন ধরে সেই জল খাচ্ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ও কর্মীরা। অবশেষে সেই ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল এক পচাগলা দেহ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া জেলায়। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, মহাঋষি দেবরাহা বাবা মেডিক্যাল কলেজের জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে এক পচা-গলা দেহ। দেহটি পুরোপুরি পচে গিয়েছে। তাই সেটি কোনও ভাবেই শনাক্ত করা যায়নি। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

    জানা গেছে, ওই ট্যাঙ্কের জল ১০ দিন ধরে খাচ্ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ও কর্মীরা। হাসপাতালের ওপিডি এবং ওয়ার্ডে এই ট্যাঙ্কের জল সরবরাহ হয়েছিল।আচমকাই ট্যাঙ্কের জলে দুর্গন্ধ টের পান। তারপরেই কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ট্যাঙ্কটি মেডিক্যাল কলেজের ছ'তলায় ছিল। সিমেন্টের তৈরি ছিল সেটি। তবে ট্যাঙ্কের মুখ ছিল খোলা। সেই ট্যাঙ্কে কয়েকজন সাফাইকর্মী নেমে তল্লাশি অভিযান চালায়। অবশেষে একটি পচাগলা দেহ উদ্ধার করে তারা। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। 

    দেওরিয়া জেলাশাসক দিব্যা মিত্তল জানিয়েছেন, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই মহাঋষি দেবরাহা বাবা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ড. রাজেশ কুমার বার্নওয়ালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বর্তমানে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইটাহ মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান ড. রজনী। প্রাথমিক তদন্তের পর দেওরিয়া জেলাশাসক দিব্যা মিত্তল আরও জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের ট্যাঙ্কটি বন্ধ থাকার কথা ছিল। কে বা কারা দেহটি ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে রেখেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী টিম গঠন করা হয়েছে। দু'দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, চলতি বছর এপ্রিল মাসেই গুজরাটের আহমেদাবাদের অম্বিকানগর এলাকায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। ২২ বছরের তরুণী করিশ্মা বাঘেল পুলিশকে জানিয়েছিল, তার তিন মাসের সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর পুলিশ খোঁজ শুরু করে। বাড়ির আশেপাশে খোঁজার পর ভূগর্ভস্থ জলের ট্যাঙ্ক থেকে শিশু সন্তানের দেহ উদ্ধার করেছে তারা। 

    পুলিশের সন্দেহ হতেই করিশ্মাকে জেরা শুরু করে। প্রথম থেকেই অসংলগ্ন কথা বলছিল সে। একবার জানায়, সে স্নান করতে গিয়েছিল। সেই সময় শিশুটি ঘরেই ছিল। স্নানঘর থেকে বেরিয়ে সন্তানকে আর দেখতে পায়নি। পরে জানা যায়, নিজের সন্তানকে জলের ট্যাঙ্কে চুবিয়ে খুন করে সে। দেহ সেখানে রেখেই পুলিশে তিনি খবর দেয়। 

    পরিবারের তরফে জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন করিশ্মার মানসিক ও শারীরিকভাবে নানা বদল আসে। ক্ষণে ক্ষণে শরীর খারাপ হত তাঁর। যার জন্য মেজাজ বিগড়ে যেত। সন্তানের জন্মের পরেও মেজাজ হারিয়ে ফেলত। শিশুটি কান্নাকাটি করত বলে, খুব বিরক্ত হত। কিন্তু নিজের সন্তানের সঙ্গে নৃশংস কাণ্ড যে ঘটাবে, তা টের পাননি কেউ।
  • Link to this news (আজকাল)