রাজ্যে ফের গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের চম্পাহাটির সোল গোয়ালিয়া থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে মহম্মদ সুজন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। ২০১৮ সালে অবৈধভাবে বসিরহাট সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মহম্মদ সুজন বারুইপুরের স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর মোল্লাকে নিজের ‘বাবা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভুয়ো পরিচয় পত্র তৈরি করে বলে অভিযোগ। আধার কার্ড থেকে ভোটার এবং প্যান কার্ড-সহ সমস্ত ডকুমেন্টে আলমগীর মোল্লাকে ‘বাবা’ হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই সব ভুয়ো নথি ব্যবহার করেই বছরের পর বছর প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে ভারতে থেকেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সুজনের কাছ থেকে একটি আন্তর্জাতিক পাসপোর্টও পাওয়া গেছে। এই নথিগুলির সাহায্যেই সীমান্ত পারপার এবং পাচারের কাজ চালাত বলে মনে করছে পুলিশ। সুজন মোল্লা একটি ছিনতাইচক্রের সক্রিয় সদস্য ছিল বলে দাবি পুলিশের। বাইক ও মোবাইল ছিনতাই করে সেগুলি বাংলাদেশে পাচার করাই ছিল তার প্রধান কাজ, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
সুজনকে সাহায্য করার অভিযোগে আলমগীর মোল্লাকেও গ্রেপ্তার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। দু’টি মোবাইল ফোন, একাধিক ভুয়ো নথি ও পাসপোর্ট তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কীভাবে এতদিন প্রশাসনের নজর এড়িয়ে মহম্মদ সুজন এলাকায় বসবাস করছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মাত্র ক’দিন আগে বাংলায় দুর্গাপুজো দেখতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছিল দুই বাংলাদেশি। হলদিবাড়ি ব্লকের ঝাড়সিংহাসন এলাকায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতেই এ পারের বাসিন্দাদের হাতে তাঁরা পাকডড়াও হন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে তাঁদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
অনুপ্রবেশ নিয়ে দেশের রাজনীতি উত্তাল। প্রধানমন্ত্রীর মুখেও অনুপ্রবেশ আটকানোর কথা শোনা গেছে। অনুপ্রবেশের ফলে দেশের জনঘনত্ব বদলে যাচ্ছে বলেও জানান মোদী। ফলে বিগত কয়েক মাস ধরেই অনুপ্রবেশ রুখতে ধড়পাকড় চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে বাংলাভাষী বা বাংলায় বাস করা সবাইকে বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এরই মধ্যে এ রাজ্যে ছ’জন পরিযায়ী শ্রমিককে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশি দাগিয়ে বাংলাদেশ পুশব্যাক করা হয়। সেই পদক্ষেপের সমালোচনা করে কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি বিবি–সহ ছয়জনকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয় আদালত।