সোমা মাইতি: বিছানায় একদিকে পড়ে স্ত্রী-পুত্রের দেহ। ওদিকে ঝুলছে স্বামীও। মর্মান্তিক এই ঘটনা মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার আণ্ডিরণে। স্ত্রী ও ৭ বছরের শিশুপুত্রকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। মঙ্গলবার রাতের এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘিরে এলাকায় শোকের ছায়া। পারিবারিক অশান্তির জেরেরই এই ঘটনা বলে পুলিসের প্রাথমিকভাবে অনুমান।
খবর পেয়ে বেলডাঙা থানার পুলিস এসে মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বেলডাঙা থানার পুলিস। মৃতরা হলেন সঞ্জিত হালদার (৪০), মৌসুমী হালদার (২৮) এবং রায়হান হালদার(৭)। সঞ্জিত পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। এছাড়াও অন্য কাজ করতেন। তবে সঞ্জিত কোনও নেশা করতেন না বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
কাঁদতে কাঁদতেই সঞ্জিতের মা দাবি করেন, "আমার বউমা ভাল ছিল না। তার জন্যই এমন হয়েছে। একবার চলে গিয়েছিল। আমার ছেলে তাকে নিয়ে এসেছিল।" প্রতিবেশীদের কথায়, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। বিভিন্ন কারণে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে পুজোর সময়ও স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে জামাকাপড় কিনতে গিয়েছিল।” মর্মান্তিক এই ঘটনায় স্ত্রী ও ৭ বছরের সন্তানকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ সঞ্জিতের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, তারপর নিজেও আত্মঘাতী হন তিনি। পুলিসের অনুমান, সঞ্জিত করাত দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের গলা কেটে হত্যা করেন। তারপর নিজে ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালের দিকে সঞ্জিতের মা শৌচালয়ে যাওয়ার সময় জানালা দিয়ে দেখতে পান এই দৃশ্য। হাড়হিম করা এই দৃশ্য দেখে চিৎকার শুরু করে দেন তিনি। তাঁর চিৎকারেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা এসে ঘরে দরজা খুলে দেখেন, বিছানায় পড়ে সঞ্জিতের স্ত্রী ও ছেলের গলা কাটা নিথর দেহ। ওদিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় সঞ্জিতকে।
আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ...
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭
২৪x৭ টোল-ফ্রি মানসিক স্বাস্থ্য পুনর্বাসন হেল্পলাইন-- কিরণ (১৮০০-৫৯৯-০০১৯)