জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃষ্টি বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই বিমান ভাড়া নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ির বাগডোগরা থেকে কলকাতা, বিমান ভাড়া দেখাচ্ছে ২৫,০০০ থেকে ২৮,০০০ টাকা। যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, দুর্যোগে ফায়দা লুঠছে উড়ান সংস্থাগুলি। মমতা জানান, গতকাল ৪০০ ত্রাণ পাঠিয়েছি। ভলভো বাস, NSBTC-র ব্যবস্থা করেও পর্যটকদের ফেরানো হচ্ছে। ভূমিধস সরানোর কাজ এখনও চলছে। ঘুরে যাওয়ার বিকল্প রুট বের করা হয়েছে। ২১ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। মিরিকে পাকা ব্রিজ তৈরি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃষ্টি বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গে শেষ হয়েছে উদ্ধারকাজ। গ্রামে গ্রামে চলছে ত্রাণ বিলি । সেইসঙ্গে এবার প্রশাসন কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ভেঙে যাওয়া বিভিন্ন রাস্তা সেতুর দ্রুত মেরামতি। কারণ ভারী বর্ষায় ভেঙে যাওয়া বহু রাস্তা যেমন ট্যুরিস্ট এলাকার সঙ্গে যুক্ত, তেমনই রয়েছে ৩১ জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও। ক্ষতিগ্রস্ত কিছু রাস্তা বা সেতু এমন রয়েছে যেগুলি ভেঙে যাওয়ার ফলে কিছু কিছু গ্রাম বিছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে । সূত্রের খবর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং মিলিয়ে অন্তত ৫৭ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে জলপাইগুড়িতে ব্যাপক হারে ভেঙে পড়েছে রাস্তা ও ব্রিজ। কত রাস্তা ও ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতি হয়েছে, ইতিমধ্যেই তার তালিকা তৈরি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, গতকাল পর্যন্ত হিসেব বলছে আনুমানিক ৫০টি রাস্তা ভেঙে গিয়েছে জলপাইগুড়ির ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলিতে। যার ফলে বিপর্যস্ত হয়েছে স্বাভাবিক যানচলাচল।
জলপাইগুড়ি জেলাতেই এখনও ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও কালভার্টের সংখ্যা অন্তত ২৫ থেকে ২৬টি। তার মধ্যে কেবল নাগরাকাটাতেই রাস্তা ভেঙেছে ২৬টি। এই ব্লকেই ভেঙে পড়া ব্রিজ ও কালভার্টের সংখ্যা কমপক্ষে ১০-এর বেশি। যার মধ্যে বেশ কিছু ব্রিজ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত। দার্জিলিংয়ে ভাঙা রাস্তার সংখ্যা অন্তত ২৫টি । যার মধ্যে রয়েছে ঘুম থেকে বিজনবাডির যাওয়ার রাস্তা, ঘুম -সীমানা রোড, রিচমন্ড হিলগামী লেবং রোড, সুখিয়া পোখরি -মানেভঞ্জন রোড। দার্জিলিংয়ের পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য এইসব রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই অবশ্য কিছু রাস্তা মেরামত করা হয়েছে । তবে সমস্ত রাস্তা সারাই করে স্বাভাবিক হতে যেমন বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে, তেমনই কয়েক কোটি টাকার খরচও বলে প্রশাসন সূত্রের দাবি।