ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: ত্রিপুরায় পা রাখতেই পুলিশি বাধা! পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ালেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। জানা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতির অজুহাতে তাঁদের বিমানবন্দর চত্বর ছাড়তে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অটো বা প্রিপেড ট্যাক্সিও বুক করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে ধরনায় বসলেন প্রতিনিধি দলের সদস্য কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষ, প্রতিমা মণ্ডল, সুদীপ রাহা, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা।
মঙ্গলবার ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরে ফুঁসছে বাংলার শাসকদল। বুধবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী ত্রিপুরা পৌঁছয় তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা, সুদীপ রাহা, সায়নী ঘোষ। আইনশৃঙ্খলার অবনতির অজুহাতে বিমানবন্দরে বাধার মুখে তাঁরা। অভিযোগ, ত্রিপুরা বিমানবন্দর থেকে কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের জন্য চারটি গাড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা পৌঁছে জানতে পারেন, একটি মাত্র গাড়ি রয়েছে। এদিকে পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যে একবারেই সকলকে যেতে হবে।স্বাভাবিকভাবেই তা অসম্ভব। কুণাল ঘোষ এগিয়ে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি। এরপর বিমানবন্দরের বাইরে থাকা প্রিপেড ট্যাক্সিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা হওয়ায় তাঁদের প্রিপেড ট্যাক্সিও বুক করতে দেওয়া হয়নি। এমনকী মিলছে না অটোও।
দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেও সমাধান সূত্র না মেলায় আগরতলা বিমানবন্দরের বাইরে ধরনায় বসেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা। বিজেপি নেতারা বলে বাংলা সেফ না। আমরা ত্রিপুরা এসে দেড়ঘণ্টা বসে আছি, কিন্তু গাড়ি পাচ্ছি না। টাকা দিলেও গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলায় গিয়ে দেখুন কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালান। বাংলায় এসব হয় না। বাংলায় আমরা শান্তিতে আছি। এসে দেখে যাও।” সায়নী ঘোষ বলেন, “এটা ত্রিপুরা সরকারের ব্যর্থতা। আমাদের পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে বলে এসেছি, তাতেও সমস্যা। আপনারা তো রোজ বাংলায় যান। এত কীসের ভয়।”