২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুনো শূকরের হামলায় মৃত্যু দু’জনের, আতঙ্ক কোচবিহারে
প্রতিদিন | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
বিক্রম রায়, কোচবিহার: ফের বুনো শূকরের হানায় মৃত্যু! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা এলাকায়। বনদপ্তরের তরফে বুনো শূকর ধরার জন্য ফাঁদ পাতা হলেও সাফল্য এখনও মেলেনি বলে খবর। ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গতকাল, মঙ্গলবার রাতে বুনো শূকরের হামলায় মৃত্যু হয়েছে কাশীনাথ বর্মন নামে এক ব্যক্তি। এর আগে ওই এলাকাতেই মারা গিয়েছিলেন ধীরেন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি।
মাথাভাঙার ঘোকসাডাঙা ভেলাকোপা এলাকার স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা কাশীনাথ বর্মন মাঠে গরু আনতে গিয়েছিলেন। সেসময় একটি বন্য শূকর তাঁর উপর আক্রমণ চালায়! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরে মৃতদেহ সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনদপ্তরের কর্মীরা ও পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ, ওই দিনই ধীরেন্দ্র বর্মন নামে এক ব্যক্তি চাষের জমিতে গিয়ে বুনো শূকরের হানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন।
বনদপ্তরের থেকে ওইসব এলাকায় খাঁচা পাতা হয়েছিল। কিন্তু সেই ফাঁদে ওই বন্য শূকরটি ধরা পড়েনি! শনিবার রাতে অতি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। ভূমিধসে দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গা ধসকবলিত। ডুয়ার্স, জলদাপাড়া এলাকাও নদীগুলির জলে কার্যত বানভাসি হয়েছিল। বিপন্ন হয়েছিল বন্যপ্রাণ। একাধিক জায়গায় লোকালয়ে হাতির পাল, গন্ডার, বুনো শূকর চলে এসেছে বলে খবর। তেমনই এই এলাকাতেও বুনো শূকর হানা দিয়েছে বলে অনুমান বনদপ্তরের। তবে দুটি ঘটনাই একই শূকর কি হামলা চালিয়েছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে বনের পশুরা লোকালয়ে চলে এসেছে। নদীর জলে ভেসে কোচবিহারে গন্ডার চলে আসার ঘটনাও ঘটেছে। বনদপ্তর পশুদের বনে ফেরানোর চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষকে আগামী কয়েক দিন সজাগ থাকতে বার্তা দিয়েছে বনদপ্তর।