• ‘রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস’, ত্রিপুরায় ‘গান্ধীবাদ’ ছেড়ে ‘সুভাষ’ হওয়ার ডাক তৃণমূলের
    প্রতিদিন | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ত্রিপুরার আগরতলায় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় ফুঁসছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে পৌঁছেছে তৃণমূলের পাঁচসদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁদের উপর হামলার আশঙ্কা করে প্রয়োজনে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদের পথে হাঁটার কথা বললেন শশী পাঁজা, অরূপ চক্রবর্তী। বললেন, “ত্রিপুরার ঘটনা রাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাস। আগেরবার তৃণমূল নেতৃত্বকে খুন করার প্ল্যান করেছিল। আমরা নজর রাখছি। যদি এবারও কিছু হয় তাহলে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে।” এদিকে ত্রিপুরা পৌঁছে গাড়ি সমস্যায় তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানালেন, এভাবে রোখা যাবে না, প্রয়োজনে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছবেন।

    বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী শশী পাঁজা ও তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। সেখানেই হামলার ঘটনায় বিজেপির সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলে বলেন, “ত্রিপুরার অসহিষ্ণু সরকার সেখানে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। পুলিশের উপস্থিতিতে ভাঙচুর করা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস। ফ্লপ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব এর কেন্দ্র। পুলিশ বসে সবটা দেখছে এই গণতন্ত্রের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব উস্কানি দিয়েছে। এটা পুরোপুরি স্টেট স্পনসরড পলিটিক্যাল টেররিজম। আর পুলিশ দর্শক।”

    তাঁরা আরও বলেন, “এরাজ্যের বুকে বিজেপির পার্টি অফিস আছে, কোনও আক্রমণ হয় না। কেও আক্রান্ত হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে যান। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন তাই স্কোর কার্ড বাড়ানোর বিপ্লব দেব প্ল্যান করে এই আক্রমণ করেছে। আগেরবার তৃণমূল নেতাদের খুন করার প্ল্যান করেছিল। এবারও কিছু হলে গান্ধীবাদ ছেড়ে সুভাষবাদ ধরতে হবে।” এদিকে ত্রিপুরা পৌঁছেই সমস্যার মুখে কুণাল ঘোষরা। জানা যাচ্ছে, তাঁদের জন্য় চারটি গাড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু ৩ টি গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং একটি গাড়িতে একবারে সকলকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা কার্যত অসম্ভব। সেই কারণে ব্যাগ গাড়িতে পাঠিয়ে হেঁটে যাবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)