• ‘সেরকম হলে আমি যাব, দেখি দম কত’, ত্রিপুরায় তৃণমূলের টিমকে আটকানোয় ক্ষুব্ধ মমতা
    প্রতিদিন | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়েছিল বিজেপিশাসিত রাজ্য ত্রিপুরায়।  আজ, বুধবার ত্রিপুরা গিয়েছিলেন ছয় সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কিন্তু  আগরতলা বিমানবন্দরেই তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে আটকানো হয়!  প্রিপেড ট্যাক্সিও ধরতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে প্রবল ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। “সেরকম হলে আমি যাব, দেখি কার কত দম।” উত্তরবঙ্গ সফর শেষে দমদম বিমানবন্দরে নেমে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানা করেছেন তিনি। 

    এদিন দুপুরে দমদম বিমানবন্দরে নেমে ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর ও তৃণমূল প্রতিনিধি দলকে আটকানোর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় আমাদের টিমকে প্রিপেড ট্যাক্সিও দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে আমি হেঁটে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।” বিজেপির প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগড়ে মমতা বলেন, “আগে নিজের ঘরের দিকে তাকান।” এরপর সুর চড়িয়ে বলেন, “সেরকম হলে আমি যাব। দেখি কার কত দম।”

    এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ত্রিপুরায় হামলা হয়েছিল। সাংসদ সুস্মিতা দেবের গাড়িতে হামলা হয়। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের একাধিক নেতার উপরে আক্রমণ নেমে এসেছিল ওই রাজ্যে। সেখানে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও আক্রান্ত হয়েছেন! বিজেপিশাসিত ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। সেই কথাও অভিযোগের আকারে ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানা করেছেন তিনি। দেশের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। বিজেপি দেশকে শেষ করে দেবে, এই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    মঙ্গলবার ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুরে ফুঁসছে বাংলার শাসকদল। বিজেপির লোকজন ওই কাজ চালিয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পুলিশ সেই ঘটনা না আটকিয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল রাতেই ত্রিপুরায় প্রতিনিধি দল পাঠানোয় সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। বুধবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুয়ায়ী ত্রিপুরা পৌঁছয় তৃণমূলের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সুস্মিতা দেব, বীরবাহা হাঁসদা, সুদীপ রাহা, সায়নী ঘোষ। আইনশৃঙ্খলার অবনতির অজুহাতে বিমানবন্দরে বাধার মুখে তাঁরা। অভিযোগ, ত্রিপুরা বিমানবন্দর থেকে কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের জন্য চারটি গাড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা পৌঁছে জানতে পারেন, একটি মাত্র গাড়ি রয়েছে। এদিকে পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যে একবারেই সকলকে যেতে হবে।স্বাভাবিকভাবেই তা অসম্ভব। কুণাল ঘোষ এগিয়ে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি। এরপর বিমানবন্দরের বাইরে থাকা প্রিপেড ট্যাক্সিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা হওয়ায় তাঁদের প্রিপেড ট্যাক্সিও বুক করতে দেওয়া হয়নি। এমনকী মিলছে না অটোও!

    দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেও সমাধান সূত্র না মেলায় আগরতলা বিমানবন্দরের বাইরে ধরনায় বসেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আগরতলার ওই কার্যালয় পরিদর্শনে হেঁটে যাবেন প্রতিনিধিরা। সেই কথাও বলা হয়েছিল। যদিও সেক্ষেত্রে ত্রিপুরা পুলিশের থেকে প্রতি পদে বাধা আসে বলে অভিযোগ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)