স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরা হল না, মারণগর্তে বাইক উল্টে মৃত্যু মহিলার, ঘটনা ঘিরে বিক্ষোভ এলাকায় ...
আজকাল | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামীর মোটরবাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন ৪৭ বছরের অনিতা। কিন্তু তিনি জানতেন না, সেটাই হতে চলেছে তাঁর জীবনের শেষ যাত্রা। মহারাষ্ট্রের পালঘরে রাস্তার গর্তে বাইক উল্টে মাথায় গুরুতর চোট পেয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিতা এবং তাঁর স্বামী অনিল পাটিল পালঘর জেলা থেকে নভজে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের মোটরবাইকটি একটি গর্তে পড়ে পিছলে যায়। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে, দম্পতি দু'জনেই বাইক থেকে পড়ে যান। ঘটনার জেরে অনিতার মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তাঁকে দ্রুত কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনায় সামান্য চোট পেয়ে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন অনিল।
এই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পালঘর - মনোর - বিক্রমগড় - জাওহর রোডের ওই জাতীয় সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতির জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকার অর্থমূল্য দেওয়া হয়েছিল।
পালঘরে রাস্তার গর্তের কারণে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। গত সেপ্টেম্বরেও একই ধরনের একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায়, স্কুটার গর্তে পড়ে গেলে প্রতাপ নায়েক নামে এক ৫৫ বছর বয়সি ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পরেই পিছন থেকে আসা একটি বেপরোয়া ট্রাক তাঁকে পিষে দিয়ে চলে যায়। দুর্ঘটনাটি ঘটে যখন তিনি বিরার ফাটার দিকে যাচ্ছিলেন।
বিরার পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ভারসাম্য হারিয়ে প্রতাপ রাস্তায় পড়ে যান এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পিছনের ট্রাকটি তাঁকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের (আরটিও) কাছে কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। অবিলম্বে রাস্তা সারানো এবং ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।