• বিজেপির খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষের উপর হামলায় গ্রেপ্তার দু’জন, বাকিদের খোঁজ চলছে এখনও...
    আজকাল | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে দু’জনকে গ্রেপ্তার করল জলপাইগুড়ি পুলিশ। হামলার ঘটনার দু’দিন পর এই গ্রেপ্তারি। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার নাগরাকাটা থেকে হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা আলিপুরদুয়ার জেলার দলসিং পাড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এদিন দুপুর নাগাদ গোপন সূত্রের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কি না সেই বিষয়ে নাগরাকাটা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন পুলিশকর্তারা। তবে, অভিযুক্তরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত কি না, সেই বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।

    গত সোমবার বন্যার জেরে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের বামনডাঙা চা বাগানে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভ চলাকালীন খগেন গুরুতর আহত হন। অভিযোগ, লাঠি, জুতো নিয়ে খগেন এবং শঙ্করের উপর চড়াও হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। নদী থেকে পাথর তুলে তাঁদের গাড়ি লক্ষ করে ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। তাতেই মুখে আঘাত পান খগেন। লেগেছে বাঁ চোখের নীচে। সেই সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় শঙ্কর ঘোষকে। বাসিন্দাদের বলতে শোনা যায়, পাঁচ বছর পর আজ কেন খোঁজ নিতে এসেছেন। চিকিৎসার জন্য দ্রুত সাংসদকে নিয়ে এলাকা ছাড়েন শঙ্কর। 

    জানা গিয়েছে, সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার পরেই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ ও বিধায়ক। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁদের সেই প্রয়াস কাজে আসেনি। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে‌। মারমুখী হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা‌। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই নেতাই গাড়িতে উঠে পড়েন। দুই নেতার সঙ্গের দেহরক্ষীরা আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। আহত খগেন মুর্মুকে নিয়ে যাওয়া হয় চালসা মঙ্গলবাড়ির একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়িতে। 

    গোটা ঘটনার জন্য বিজেপির তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তোলা হলেও ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, 'রবিবার এই জেলায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা নিয়ে বিজেপির সাংসদ বা বিধায়করা কেউ আসেননি। আজ কারা রাজনীতি করতে এসেছেন সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছেন।' 

    অন্যদিকে সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগ ওঠায় দলের প্রাক্তন সাংসদ ও নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'এটা নিয়ে একটা বিকৃত প্রচার চলছে। দল কোনও অবস্থাতেই এই ধরনের হামলা সমর্থন করে না। কিন্তু এদিনের ঘটনা বিজেপি নেতাদের কর্মফল। তাঁরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। মানুষের উন্নয়নে বাধা দেয়। যেখানে তৃণমূল কর্মীরা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে ব্যস্ত সেখানে বিজেপির নেতারা গিয়েছিলেন ছবি তুলতে। তাঁরা কিন্তু ত্রাণের কাজে যাননি। ফলে সেখানকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল করিয়েছে বলে যেটা বলা হচ্ছে তার কোনও সারবত্তা নেই।'
  • Link to this news (আজকাল)