পিয়ালী মিত্র: নাগরাকাটা কাণ্ডে বড় আপডেট। খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষের উপর 'হামলা'র দু'দিনের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার ২। ৮ জনের বিরুদ্ধে FIR। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিস।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। সেদিন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। রেহাই পাননি শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। অভিযোগ, রীতিমতো ইট, পাথরের দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। স্রেফ বিধায়ক শঙ্কর ধাক্কা মারাই নয়, মারের চোটে মাথা ফাটে সাংসদের। রক্তে ভিজে যায় মুখ! প্রবল বিক্ষোভে শেষে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা।
আহত সাংসদ ও বিধায়ক এখন ভর্তি শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে। সাংসদ ICU-তে। গতকাল, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ সফরের মাঝেই সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে যান মুখ্য়মন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, 'খগেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনার ডায়বেটিসটা খুব বেশি। তাই জন্য পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। কানে একটু লেগেছে'। সেই ঘটনায় এবার ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের অবশ্য দাবি, 'আটক হয়েছে। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের কোনও খবর নেই। সবকিছু আমরা দিয়ে দিয়েছি। পরিষ্কার পুলিসকে বলে দিয়েছি যে, যদি ব্য়বস্থা না নেওয়া হয়, একমাসের মধ্যে আমরা ব্যবস্থা নেব'। মুখ্য়মন্ত্রীকে কটাক্ষ, 'সবার সাবধান থাকা উচিত যে, নিজের ভাইপোর না, আবার অন্য কারও-ও নয়। যেকোন সময়ে যে কাউকে বিপদে ফেলে দিতে পারে, তার নাম মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়'।